মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা আসিফ
Published: 6th, June 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া রাজধানীর মহাখালী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে তিনি বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে যান।
মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে বাসে উঠে যাত্রীদের বিভিন্ন অভিযোগ এবং তাদের ভোগান্তি হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চান উপদেষ্টা। সবার ঈদযাত্রা মসৃণ ও সহজ করতে বাস চালক-হেলপারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। পাশাপাশি বাস টার্মিনালে সিসিটিভি এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
আরো পড়ুন:
ভিড় কমলেও কমলাপুরে এখনো ঘরমুখী মানুষের চাপ
যেমন থাকবে ঈদের দিনের আবহাওয়া
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে সিসিটিভি, পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা বাড়তি ভাড়া ফেরত দেওয়ানোসহ সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী বাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন। পরে আসিফ মাহমুদ শনির আখড়া গরুর হাট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে হাট ইজারাদার এবং গরুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।
পরিদর্শনস্থলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।
অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ঋত্বিক ঘটক