রংপুরের তারাগঞ্জ আলুর হিমাগারে মিষ্টি মজুত করার দায়ে চার ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘনিরামপুর এলাকায় ব্রাদার্স হিমাগার থেকে ৩ হাজার ৩৮০ কেজি মিষ্টি জব্দ করে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চার ব্যবসায়ীকে সাজা দেন।

এর মধ্যে তারাগঞ্জ বাজারের ভাই ভাই মিষ্টিমুখের মালিক ফজলু হককে ৫ হাজার, সিলেট মিষ্টিমুখের মালিক সৃজিত দেবকে ২৫ হাজার, রব্বানী হোটেলের মালিক হাফিজার রহমানকে ১৫ হাজার এবং বাঁধন মিষ্টিমুখের মালিক নুর আলমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৬টি ড্রাম জব্দ করা হয়। প্রতিটি ড্রামে প্রায় ১৩০ কেজি মিষ্টি ছিল। এর মধ্যে ভাই ভাই মিষ্টিমুখের ২ ড্রাম, সিলেট মিষ্টিমুখের ১৪ ড্রাম, রব্বানী হোটেলের ৮ ড্রাম ও বাঁধন মিষ্টিমুখের ২ ড্রাম মিষ্টি ছিল।

ইউএনও রুবেল রানা বলেন, হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করে ৪টি দোকানের প্রায় ৩ হাজার ৩৮০ কেজি মিষ্টি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিককে সর্তক করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করেন।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফ। তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে ব্রার্দাস হিমাগারে ঈদকে ঘিরে মিষ্টি মজুত করা হয়েছে। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে মিষ্টি জব্দ করেছি। যেগুলো নষ্ট, জনস্বাস্থ্যের জন ক্ষতিকর, সেগুলো জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র খুলছে শুক্রবার থেকে

সিলেটে টানা বৃষ্টি, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষিত সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র শুক্রবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।

এর আগে গত ৩০ মে সিলেটে কয়েক দিন ধরে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া স্থিতিশীল হলেই পর্যটনকেন্দ্রটি খুলে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে আজ বিকেলে ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, আজ উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সদস্যদের সম্মতিতে নিষেধাজ্ঞা আগামীকাল সকাল থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার থেকে সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলে দেওয়া হয়েছে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র
  • সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র খুলছে শুক্রবার থেকে