আলুর হিমাগারে মিষ্টি মজুত করায় চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা
Published: 7th, June 2025 GMT
রংপুরের তারাগঞ্জ আলুর হিমাগারে মিষ্টি মজুত করার দায়ে চার ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘনিরামপুর এলাকায় ব্রাদার্স হিমাগার থেকে ৩ হাজার ৩৮০ কেজি মিষ্টি জব্দ করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চার ব্যবসায়ীকে সাজা দেন।
এর মধ্যে তারাগঞ্জ বাজারের ভাই ভাই মিষ্টিমুখের মালিক ফজলু হককে ৫ হাজার, সিলেট মিষ্টিমুখের মালিক সৃজিত দেবকে ২৫ হাজার, রব্বানী হোটেলের মালিক হাফিজার রহমানকে ১৫ হাজার এবং বাঁধন মিষ্টিমুখের মালিক নুর আলমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৬টি ড্রাম জব্দ করা হয়। প্রতিটি ড্রামে প্রায় ১৩০ কেজি মিষ্টি ছিল। এর মধ্যে ভাই ভাই মিষ্টিমুখের ২ ড্রাম, সিলেট মিষ্টিমুখের ১৪ ড্রাম, রব্বানী হোটেলের ৮ ড্রাম ও বাঁধন মিষ্টিমুখের ২ ড্রাম মিষ্টি ছিল।
ইউএনও রুবেল রানা বলেন, হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করে ৪টি দোকানের প্রায় ৩ হাজার ৩৮০ কেজি মিষ্টি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিককে সর্তক করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করেন।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফ। তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে ব্রার্দাস হিমাগারে ঈদকে ঘিরে মিষ্টি মজুত করা হয়েছে। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে মিষ্টি জব্দ করেছি। যেগুলো নষ্ট, জনস্বাস্থ্যের জন ক্ষতিকর, সেগুলো জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন।
রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন
ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে
আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ