চ্যানেল আইয়ে ‘চাঁদের হাট’, আরটিভিতে ‘মুশকিল আসান কোম্পানি’; আজ আরও যা দেখবেন
Published: 7th, June 2025 GMT
এটিএন বাংলা
বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ছোটদের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘প্রজাপতি মন’। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নাটক ঠিক বেঠিক। অভিনয়ে নিলয়, হিমি। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে নাটক ‘ভাঙা আয়নার গল্প’। অভিনয়ে তৌসিফ, তানজিন তিশা। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে নাটক ‘পিঞ্জর’। অভিনয়ে নিলয়, হিমি, তানিয়া বৃষ্টি। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঈদ বিনোদন মেলা’। রাত ১১টায় টেলিফিল্ম ‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’। অভিনয়ে নিলয়, হিমি।
চ্যানেল আই
বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘চাঁদের হাট’। অভিনয়ে তৌসিফ, কেয়া পায়েল। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘ক্ষতিপূরণ’। অভিনয়ে ইয়াশ রোহান, মালাইকা চৌধুরী। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিক নাটক ‘ছোটকাকু রহস্য’। ফরিদুর রেজা সাগরের ‘ছোটকাকু’ সিরিজের উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ আফজাল হোসেন, পরিচালনায় অনিমেষ আইচ। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে নাটক ‘মন মঞ্জিলে’। অভিনয়ে তৌসিফ, তটিনী।
এনটিভি
বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘একটি পুরানো ছবি’। অভিনয়ে আবু হুরায়রা তানভীর, সামিরা খান মাহি। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ধারাবাহিক নাটক ‘প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও’। অভিনয়ে সাইদুর রহমান পাভেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া। সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে একক নাটক ‘কোটিপতি’। অভিনয়ে নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। রাত ৯টা ১০ মিনিটে একক নাটক ‘ডাকাইতের দল’। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, রোবেনা রেজা জুঁই। রাত ১১টায় একক নাটক ‘আবেগ’। অভিনয়ে জোভান, আইশা খান।
আরটিভি
বিকেল ৫০টা ৩০ মিনিটে সংগীতানুষ্ঠান ‘মিউজিক লাউঞ্জ’। শিল্পী: রোমিও ব্রাদার্স। সন্ধ্যা ৭টায় একক নাটক ‘সানগ্লাস ফ্যামিলি’। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি। রাত ৮টায় একক নাটক ‘লেডি যমজ’ অভিনয়ে মানসী প্রকৃতি, তন্ময় সোহেল। রাত ৯টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিক নাটক ‘মুশকিল আসান কোম্পানি।’ অভিনয়ে শামীম হাসান সরকার, চাষী আলম, শখ। রাত ৯টা ৩০ মিনিটে একক নাটক মিস্টার নেগেটিভ। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি। রাত ১১টায় ধারাবাহিক নাটক কনটেন্ট অব দ্য ইয়ার। অভিনয়ে যাহের আলভী, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, ইফফাত আরা তিথি।
‘সানগ্লাস ফ্যামিলি’ নাটকের দৃশ্য.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধ র ব হ ক ন টক ৩০ ম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষ কি আসলেই স্বার্থপর
বিজ্ঞান বলছে, আমরা জন্মগতভাবে পরোপকারী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি সত্যিই সব সময় অন্যদের কথা ভাবতে বাধ্য?
উড়োজাহাজ উড়াল দেওয়ার আগমুহূর্তে যাত্রীদের সচেতন করার জন্য নিরাপত্তাবিষয়ক কিছু ঘোষণা দেওয়া হয়। যেমন ‘স্বাগতম’ এবং ‘এই বাঁশিটি বাজিয়ে সাহায্য চান’। এসবের মাঝখানে বলা হয়, ‘আগে নিজের অক্সিজেন মাস্ক পরুন, তারপর অন্যকে সাহায্য করুন।’
এই কথাকে বলা চলে ‘স্বার্থপরতা’ দেখানোর একরকম আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা। যদি আপনি আকাশে ৩৩ হাজার ফুট উচ্চতায় এবং ঘণ্টায় ৫৫০ মাইল গতিতে থাকা অবস্থায় কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে এ নির্দেশনা ভালো কাজে দেবে।
ধরুন, পরিস্থিতি এমন হলো যে হঠাৎ করে কেবিনের ভেতরে চাপ কমে গেল। এই পরিস্থিতিতে যদি আপনি আগে নিজের অক্সিজেন মাস্ক না পরেন, তাহলে হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন। আর তখন আপনি আর কাউকে সাহায্য করার মতো অবস্থাতেই থাকবেন না।
বিজ্ঞান বলছে, আমাদের বেশির ভাগের মধ্যেই নিঃস্বার্থ হওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা আছে। কখনো কখনো তা আশ্চর্য রকমের বেশি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা সব সময় নিঃস্বার্থ হতে পারি বা হওয়া উচিত।কিন্তু অন্যভাবে ভেবে দেখলে, এই কথাটাতে অনেকে ভুল বার্তাও পেতে পারেন। আজকের দুনিয়ায় যেখানে আত্মকেন্দ্রিক মানুষদেরই অনেক সময় বেশি সফল বলে মনে হয়, সেখানে এই লাইন যেন বলছে, সব সময় আগে নিজের কথা ভাবো আর নিজের স্বার্থই সবচেয়ে বড়।
সামাজিক মনোবিজ্ঞানী গির্ট হফস্টেডের মতে, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা হলো মানুষ কতটা নিজেকে স্বাধীন মনে করে, সেটির পরিমাপ। অর্থাৎ বড় একটি গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল থাকার বিপরীত দৃশ্য এটি।
বিশ্বের অনেক জায়গায়, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রবণতা দিন দিন প্রবল হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কি ভালো, না খারাপ?
লিডস বেকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক স্টিভ টেলর বলেন, ‘শুধু সেলফিশ জিন’ ও ‘নিও-ডারউইনিজম’ তত্ত্বই নয়; মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও জীববিজ্ঞানের বেশ কিছু তত্ত্ব এই বিশ্বাসকে স্বাভাবিক করে তুলেছে যে প্রতিযোগিতা মানেই মানুষ স্বভাবতই নিষ্ঠুর, নির্মম বা স্বার্থপর।
তবে টেলর এটাও মনে করেন যে মানুষ অবশ্যই স্বার্থপর হতে পারেন। কারণ, আমাদের মস্তিষ্কের প্রথম কাজই হলো আমাদের বাঁচিয়ে রাখা। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো আরও আশাব্যঞ্জক কথা বলছে। এসব গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যে সব সময় নিজের কথাই আগে ভাবেন, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।
আমরা কখন নিজের কথা আগে ভাবি আর কখন অন্যের কথা আগে ভাবি, তা অনেকটাই পরিস্থিতি, আমাদের আগের অভিজ্ঞতা এবং সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে।১৯৬০-এর দশকে ‘বাইস্ট্যান্ডার ইফেক্ট’ নামের একটি তত্ত্ব আলোচনায় আসে। এই তত্ত্বে বলা হয়, কেউ বিপদে পড়লে আশপাশের মানুষেরা খুব কমই এগিয়ে যান। ১৯৬৪ সালে নিউইয়র্কে কিটি জেনোভেস নামের ২৮ বছরের এক নারী বারকর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর তত্ত্বটি দেওয়া হয়েছিল। তত্ত্ব অনুসারে, কিটি জেনোভেসকে হত্যার দৃশ্যটি প্রায় ৪০ জন মানুষ দেখেছেন, কিন্তু কেউই তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।
‘বাইস্ট্যান্ডার ইফেক্ট’-এর পেছনের ঘটনাটি নিয়ে যে গল্প সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে, তার শেষাংশ এখন অনেকটাই বিতর্কিত বলে ধরা হয়। হ্যাঁ, কিটি জেনোভেসকে যে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল, এটা সত্যি এবং তা মর্মান্তিক। তবে তদন্তে দেখা গেছে, ৩৮ জন নির্লিপ্ত প্রত্যক্ষদর্শীর কথাটি সত্য নয়। ২০০৭ সালের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনোভেসের হত্যাকাণ্ড যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা কেউই কিছু করেননি, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি।
গবেষকেরা মনে করেন, এই গল্প একধরনের আধুনিক উপকথা হয়ে গেছে। তাঁদের মতে, এ ধারণা আসলে জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের সহানুভূতি বা সাহায্য নিয়ে আরও গভীরভাবে গবেষণার সুযোগকে সীমিত করে দিয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক পরিস্থিতিতে মানুষ আসলে নিজের নিরাপত্তার চেয়েও অন্যের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে প্রস্তুত থাকে।
কিছু নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা এখনো আমাদের পূর্বসূরিদের মতো করে জীবন যাপন করেন, তাঁরা সম্পদ ভাগাভাগিতে সমতা বজায় রাখেন