পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন আজ রবিবার (৮ জুন)। এ দিনেও ঢাকাশহরে পশু কোরবানি দেয়া হচ্ছে। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরু এবং ছাগল কোরবানি দিতে দেখা গেছে। অনেকে ঈদুল আজহার দিন কোরবানি দিতে পারেননি। তাই তারা সকাল থেকে রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাটে পশু কিনতে যাচ্ছেন। 

রবিবার (৮ জুন) রাজধানীর মেরাদিয়া এলাকা ঘুরে এমনচিত্র দেখা গেছে।

সকালে রামপুরা থেকে ছাগল কিনতে মেরাদিয়া বাজারে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। সঙ্গে ছিল তার ছেলে। ঈদুল আজহার দিন তিনি পশু কোরবানি করতে পারেননি। তাই পশু কিনতে মেরাদিয়া হাটে এসেছেন। রঙ ও আকার দেখে ২১ হাজার টাকার একটি ছাগল কিনেছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

ঈদের ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার 

সকালে মাদারটেক এলাকা থেকে মেরাদিয়া বাজারে এসেছেন হামিদুজ্জামান। তিনিও ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনেছেন। 

মেরাদিয়া বাজারে পশু বিক্রেতা সেলিম মিয়া জানান, ঈদের প্রথম দিন যারা কোরবানি দেননি, তারা আজকে পশু কিনতে এসেছেন। সকাল থেকে তার পাঁচটি ছাগল বিক্রি হয়েছে। সবাই এখানে জবাই দিয়ে মাংস কেটে নিচ্ছেন।

রফিকুল ইসলাম জানান, জরুরি কাজে তিনি শনিবার (৭ জুন) ঢাকার বাইরে ছিলেন। তাই কোরবানি দেয়া সম্ভব হয়নি। আজকে ঢাকায় এসেছেন। তাই সকালে মেরাদিয়া বাজারে এসেছেন ছাগল কিনতে। 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দিন বিভিন্ন কারণে যারা কোরবানি দিতে পারেননি, তারা দ্বিতীয় দিন রবিবার (৮ জুন) কোরবানি দিচ্ছেন। আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) সূর্যাস্তের পূর্বপর্যন্ত কোরবানি দেয়া যাবে।

ঢাকা/এনটি/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস ছ ন ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ