কুড়িগ্রামে ঈদের ছুটিতে নাশকতার আশঙ্কায় গ্রামীণ ব্যাংকে পুলিশের পাহারা
Published: 8th, June 2025 GMT
কুড়িগ্রামে ঈদের ছুটিতে গ্রামীণ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নাশকতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। জেলার গ্রামীণ ব্যাংকের ৫২টি শাখাসহ অন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পুলিশ সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাশকতার আশঙ্কায় গত শুক্রবার রাত থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সদর উপজেলায় ৮টি, উলিপুরে ৮টি, রাজারহাট ৬টি, নাগেশ্বরীতে ৮টি, ভূরুঙ্গামারীতে ৫টি, ফুলবাড়ীতে ৩টি, কচাকাটাতে ২টি, চিলমারীতে ৫টি, ঢুষমারা থানায় ১টি, চর রাজিবপুরে ১টি, রৌমারী থানায় ৫টিসহ মোট ৫২টি গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। প্রতিটি শাখায় ৮ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্বে আছেন। পুলিশ সেখানে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আনসার, চৌকিদার, দফাদার দিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে।
এ সম্পর্কে আজ রোববার সকালে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে জেলায় নাশকতার পরিকল্পনার একটি গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাই জেলার ৫২টি গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পাহারা দিচ্ছেন। ঈদের ছুটির ১০ দিন পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঈদ র ছ ট ন শকত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।