ধ্বংসস্তূপে শিরোপার ফুল ফোটালেন আলকারাজ
Published: 9th, June 2025 GMT
এক ম্যাচে কতো কিছুর সাক্ষী হলো টেনিস বিশ্ব। প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প লিখা হলো। ফ্রেঞ্চ ওপেনের উন্মুক্ত যুগের ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী ফাইনাল হলো।
র্যাংকিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়ের শিরোপা লড়াই। উত্তেজনাপূর্ণ, নখ কামড়ানো মুহূর্ত, রোমাঞ্চে ঠাসা এক ম্যাচ দেখার সুযোগ মিলল। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। ইতিহাসের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জন্ম দিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন দুই নম্বর তারকা আলকারাজ।
প্যারিসের ফাইনালে ২-০ সেটে পিছিয়ে পড়া আলকারাজ টানা তিন সেট জিতে শিরোপা জিতে নেন। স্কোর লাইন: ৪-৬, ৬-৭, ৬-৪, ৭-৬, ৭-৬। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফ্রেঞ্চ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। ২২ বছর বয়সেই আলকারাজের ঝুলিতে জমা হয়ে গেলো ৫টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা।
আরো পড়ুন:
ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্ত জানালেন রোনালদো
প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান, জর্ডান
ইয়ানিকের টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে দিলেন আলকারাজ। ইউএস ওপেন এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে এসে হারলেন সিনার।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের পুরুষ এককের উন্মুক্ত যুগের আগের দীর্ঘস্থায়ী ফাইনালের রেকর্ডটি গড়েছিলেন ম্যাট ভিলেন্ডার ও গুইলের্মো ভিলাস। ১৯৮২ সালের সেই ফাইনালে দুজনের লড়াই স্থায়ী হয়েছিল ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিট। আজ ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিট লড়াই করেছেন দুই তারকা। যা ফ্রেঞ্চ ওপেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ম্যাচ।
আলকারাজের সামনে গতকাল অনুপ্রেরণা ছিলেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। ২০১৯ সালে উইম্বলডন ফাইনালে নোভাক জোকোভি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন। প্রথমে দুই সেট পিছিয়ে থেকে আলকারাজ ধ্বংসস্তূপে আটকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুরু প্রত্যাবর্তনের গল্প।
নিজের ফোরহ্যান্ডের জাদুতে তৃতীয় সেট জিতলেন। এরপর চতুর্থ সেটে ৩-৫ গেম ও ০-৪০ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকেও রক্ষা করেন তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট এবং নিয়ে গেলেন সেটটি টাইব্রেকে। সেখানেও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর পঞ্চম সেটে ম্যাচ গড়ায় সুপার টাইব্রেকে। অসাধারণ ফোরহ্যান্ড, দুটো অ্যাস এবং নিখুঁত কৌশলে ১০-২ ব্যবধানে শেষ করেন ম্যাচ। ফাইনাল জয়। হারিয়ে আনন্দে কোর্টে শুয়ে পড়লেন আলকারাজ।
নিজের দ্বিতীয় ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেন এই স্পেনের তারকা। এছাড়া দুটি উইম্বলডন ও একটি ইউএস ওপেন জিতেছেন ২২ বছর বয়সী আলকারাজ।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আলক র জ ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।