এক ম‌্যাচে কতো কিছুর সাক্ষী হলো টেনিস বিশ্ব। প্রত‌্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প লিখা হলো। ফ্রেঞ্চ ওপেনের উন্মুক্ত যুগের ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী ফাইনাল হলো।

র‌্যাংকিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়ের শিরোপা লড়াই। উত্তেজনাপূর্ণ, নখ কামড়ানো মুহূর্ত, রোমাঞ্চে ঠাসা এক ম‌্যাচ দেখার সুযোগ মিলল। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। ইতিহাসের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জন্ম দিয়ে শেষ পর্যন্ত ম‌্যাচটা জিতে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন দুই নম্বর তারকা আলকারাজ।

প্যারিসের ফাইনালে ২-০ সেটে পিছিয়ে পড়া আলকারাজ টানা তিন সেট জিতে শিরোপা জিতে নেন। স্কোর লাইন: ৪-৬, ৬-৭, ৬-৪, ৭-৬, ৭-৬। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফ্রেঞ্চ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। ২২ বছর বয়সেই আলকারাজের ঝুলিতে জমা হয়ে গেলো ৫টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা।

আরো পড়ুন:

ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্ত জানালেন রোনালদো

প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান, জর্ডান

ইয়ানিকের টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে দিলেন আলকারাজ। ইউএস ওপেন এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে এসে হারলেন সিনার।

ফ্রেঞ্চ ওপেনের পুরুষ এককের উন্মুক্ত যুগের আগের দীর্ঘস্থায়ী ফাইনালের রেকর্ডটি গড়েছিলেন ম্যাট ভিলেন্ডার ও গুইলের্মো ভিলাস। ১৯৮২ সালের সেই ফাইনালে দুজনের লড়াই স্থায়ী হয়েছিল ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিট। আজ ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিট লড়াই করেছেন দুই তারকা। যা ফ্রেঞ্চ ওপেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ম্যাচ।

আলকারাজের সামনে গতকাল অনুপ্রেরণা ছিলেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। ২০১৯ সালে উইম্বলডন ফাইনালে নোভাক জোকোভি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন। প্রথমে দুই সেট পিছিয়ে থেকে আলকারাজ ধ্বংসস্তূপে আটকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুরু প্রত‌্যাবর্তনের গল্প।

নিজের ফোরহ্যান্ডের জাদুতে তৃতীয় সেট জিতলেন। এরপর চতুর্থ সেটে ৩-৫ গেম ও ০-৪০ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকেও রক্ষা করেন তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট এবং নিয়ে গেলেন সেটটি টাইব্রেকে। সেখানেও ছিলেন অপ্রতিরোধ‌্য।

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর পঞ্চম সেটে ম‌্যাচ গড়ায় সুপার টাইব্রেকে। অসাধারণ ফোরহ্যান্ড, দুটো অ্যাস এবং নিখুঁত কৌশলে ১০-২ ব্যবধানে শেষ করেন ম্যাচ। ফাইনাল জয়। হারিয়ে আনন্দে কোর্টে শুয়ে পড়লেন আলকারাজ।

নিজের দ্বিতীয় ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেন এই স্পেনের তারকা। এছাড়া দুটি উইম্বলডন ও একটি ইউএস ওপেন জিতেছেন ২২ বছর বয়সী আলকারাজ।

ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আলক র জ ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

জকোভিচের শেষের শুরু

উনচল্লিশ চলছে তাঁর। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য বয়সটা নেহাত কম নয়। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো প্যারিস ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগি হয়ে পড়েন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। শুক্রবার সেমিফাইনালে তিনি হেরে যান ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে। তিনবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী এই কিংবদন্তী। রোঁলা গারোর দর্শকদের কাছে হাত উঁচিয়ে বিদায় নিয়ে যান। 

‘এটাই হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। জানি না, তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, আমি আবারও এখানে খেলতে চাই। কিন্তু সেটা আরও বারো মাস পরে, যা কিনা আমার জন্য অনেক বেশি সময়। ইউএস ওপেন  আর উইম্বল্ডন খেলব। তারপর পাকাপাকি অবসরের নিব কিনা জানি না।’ 

২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকা সম্প্রতি সময়ে লড়ছেন যেন তার বয়সের সঙ্গেই। দু’বছর আগে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে। এর পর গত বছর উইম্বল্ডনের ফাইনালে উঠলেও হেরে যান কার্লোস আলকারেজের কাছে। এবারে প্যারিস থেকে বিদায় নিলেও সেখানকার লাল মাটির কোর্টে কিছু রেকর্ডে নিজের নাম লিখে যান জকো। 

লাল দুর্গের এই কোর্টে রাজা ছিলেন যিনি, সেই রাফায়েল নাদালের সর্বাধিক ১১২টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে এখানে। সেই লাল দুর্গেই কিনা দ্বিতীয় সর্বাধিক হিসেবে ১০১টি ম্যাচ জিতে নেন জকোভিচ। ক্যারিয়ারে একক কোনো মেজর আসরেও এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দশ বার অংশগ্রহণ করে তিনবার শিরোপা জিতে নেন এই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। তবে এখান থেকেই বোধহয় শেষের শুরু হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকোভিচের শেষের শুরু
  • `এটাই হয়ত আমার শেষ ম্যাচ`, ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে বিদায় জোকোভিচের