একাধিক মামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ১১ জুন জামিন পেতে পারেন। রবিবার (৮ জুন) ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান গোহর আলি খান এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি জানান, ১১ জুন (বুধবার) দিনটি দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইমরান খুব শিগগির জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস।
গোহরের মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, ওই দিনই জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন ইমরান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এআরওয়াই নিউজ়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটিআই চেয়ারম্যান গোহর বলেন, “ইমরানকে ছাড়াই চারটে ইদ কেটে গেল। তবে উনি খুব শিগগির ছাড়া পাবেন। ১১ জুন তারিখটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।”
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলো ভারত
পাকিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, দুই শতাধিক কয়েদির পলায়ন
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) ওই দিন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির দণ্ড স্থগিত চেয়ে দাখিল করা আবেদনপত্রের ওপর শুনানি করবে। এর আগে, গত মাসে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) আবেদনের ভিত্তিতে শুনানিটি মুলতবি করা হয়েছিল, কারণ সংস্থাটি তাদের আইনি প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়েছিল।
ইতিমধ্যেই শাহবাজ় শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান। রবিবার গোহরও পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোকে একজোট হয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলেন।
তিনি জানান, পিটিআই চলতি অর্থবছরের বাজেট এবং চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে, যার নেতৃত্ব দেবেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিজেই—জেল থেকেই। গোহরের ভাষায়, “দলীয় কৌশল ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। ৯ জুন এ বিষয়ে আমরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব।”
এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা আলী আমিন গান্ডাপুর সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ঈদুল আজহার পর ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে একটি দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করা হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমর ন খ ন ইমর ন খ ন প ট আই ১১ জ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু নির্দেশনা হলো:
সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
হাঁচি-কাশির সময় বাহ/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশে প্রবেশের পথের জন্য নির্দেশনা
দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/ বিমান বন্দর সমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্ক সমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)
ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন
প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)