খুলনায় রূপসা সেতু এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ দুজন নিহত
Published: 9th, June 2025 GMT
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে নগরের রূপসা সেতুর (খানজাহান আলী সেতু) পশ্চিম প্রান্তে দারোগার লিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন; এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইজিবাইকের চালক রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও যাত্রী তানজিল (১২)। তাঁরা দুজনই ঘটনাস্থলে নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত চারজনই ইজিবাইকের যাত্রী। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লবণচরা থানা ক্যাম্প ইনচার্জ (আইসি) উপপরিদর্শক আবদুর রহিম জানান, আজ ভোরের দিকে চাঁদপুর থেকে আসা কয়েক যাত্রী খুলনায় আত্মীয়র বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাস থেকে নেমে একটি ইজিবাইকে উল্টো পথে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাগেরহাট থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক ইজিবাইকটিকে জোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক ও এক কিশোর যাত্রী নিহত হন।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছেন চালক ও তাঁর সহকারী। তাঁদের শনাক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?