রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে গুলি, গুলিবিদ্ধ ১
Published: 11th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ছাব্বির হোসেন খোকা নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মামুন নামে এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকাবাসী ছাত্রলীগের ওই নেতাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্রলীগ নেতা খোকা গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রবেশ করে নানা অপকর্ম করার চেষ্টা করছিল। মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবের ভাতিজা জাইদুল ইসলাম বাবু আটকের খবর জানতে পেরে খোকাকে ছাড়িয়ে নিতে পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ী মামুন গুলিবিদ্ধ হন। এসময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় বাবু।
উত্তেজিত এলাকাবাসী ছাত্রলীগ নেতা খোকাকে গণধোলাই দিয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ব্যবসায়ী মামুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী মামুনের ভাই বলেন, “বিকেলে মোটরসাইকেলে করে তিন ব্যক্তি আসেন। তাদের মধ্যে একজন হেলমেট পরা, বাকি দুজনের মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। এদের মধ্যে বাবু নামে একজনকে চিনতে পেরেছি। সে গুলি করে।”
মামুনের স্ত্রী বলেন, “আমি বাসায় ছিলাম না। বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরে বিকেলে জানতে পারি আমার স্বামীকে গুলি করা হয়। সে কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। সে নির্দোষ।”
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্ট) সালাউদ্দিন কাদের জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির হোসেন খোকা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/অনিক/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক ব স ব যবস য় র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাইভেটকারে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, উড়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে আরোহীর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেয় মোটরসাইকেল। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী গাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে মারা যান। সোমবার বেলা ১২টার দিকে পাবনা-কুষ্টিয়া হাইরোডের বারোমাইল এলাকার মিজান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হাইওয়ে পুলিশের এসআই জয়দেব বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম আসগর মালিথা (৬৫)। তিনি উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, আসগর মালিথা তার নাতজামাই সোহাগের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে নয়মাইল থেকে বারমাইলের দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে পাবনা থেকে কুষ্টিয়া গামী একটি প্রাইভেটকার বারমাইলের মিজান ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে দাঁড়িয়ে থাকা। এসময় মোটরসাইকেলটি সজোরে প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনে থাকা আরোহী প্রাইভেটকারের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। আর মোটরসাইকেল চালক সোহাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আজমল হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত আসগর আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দিনমজুর আসগরের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছি।
হাইওয়ে পুলিশের এসআই জয়দেব বিশ্বাস বলেন, পাবনা-কুষ্টিয়া হাইওয়ের মিজান ফিলিং স্টেশনের সামনে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আসগর নামে একজন মারা গেছেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশের সুরতহাল করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্ব) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারার বারোমাইলে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে আসগর মালিথা মারা গেছেন। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখছে।