ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৫। মুক্তির আগে থেকেই ধারাবাহিক নাটকটি নিয়ে উন্মাদনায় ভেসেছেন ভক্তরা। বিষয়টি টের পাওয়া গেছে প্রি-বুকিংয়ে। মুক্তির পরও আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানালো সংশ্লিষ্টরা। নাটকটির ওটিটি পার্টনার বঙ্গ। এতে উন্মুক্ত হওয়ার পর প্ল্যাটফর্মটির পক্ষ থেকে জানিয়েছে, রেকর্ড ব্রেকিং ওপেনিং হয়েছে এবার! 

শতাধিক দেশ থেকে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন-৫ দেখছে দর্শকরা। এর মধ্যে পেইড ভিউজ হয়েছে ৩৫ লাখের বেশি। পেইড ওয়াচ টাইম রেকর্ড ২.

৫ কোটি মিনিট! যেমনটা এর আগে দেশের কোনও ওয়েব কনটেন্টের বেলায় ঘটেনি। এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্টদের। এর আগে ওটিটিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল অমির নির্মিত ‘ফিমেল ৪’, সেই তুলনায় এবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র নতুন সিজন আরও তিনগুণ বেশি সাড়া ফেলেছে।

ব্যাচেলর পয়েন্ট’র ইতিহাসে এবারই প্রথমবার দর্শকরা বঙ্গ অ্যাপে একসঙ্গে ৮টি পর্ব দেখতে পাচ্ছেন। মাত্র ৫০০ টাকায় দেখা যাবে পুরো সিজনের ১২০টি পর্ব (১৫টি চ্যাপ্টার, প্রতি মাসে এক চ্যাপ্টার)। সিজন পাস ছাড়াও দর্শকদের জন্য রয়েছে আরও দুটি প্যাকেজ—২ মাসের প্যাক (১৬টি পর্ব) মাত্র ৭৫ টাকা এবং মিনি প্যাক (৮টি পর্ব) মাত্র ৪০ টাকা। প্রসঙ্গত, ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৫-এ অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, চাষী আলম, পারসা ইভানা, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, লামিমা লাম, শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ রানা, মনিরা মিঠু প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

‘তাণ্ডব’-এর প্রদর্শনী বন্ধ,  ‘আপনি আছেন বন্দর নিয়ে?’ - সরকারের প্রতি নির্মাতা নিপুণের প্রশ্ন

হঠাৎ তুমুল আলোচনায় জয়া 

সিরিজটি মুক্তির আগে গত ১ জুন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাজল আরেফিন অমি ঘোষণা দেন যে, ‘‘ঈদুল আজহার রাত থেকে একসঙ্গে ৮টি এপিসোড দেখা যাবে বঙ্গ অ্যাপে। দেখতে হলে আগে থেকে প্রি-বুকিং করা যাবে। নির্মাতার এই ঘোষণায় ব্যাচেলর পয়েন্ট অনুরাগীদের মধ্যে হুলস্থূল লেগে যায়। দেশ-বিদেশ থেকে দর্শকরা নাটকটি প্রি-বুক করেন। সেখান থেকেই নতুন রেকর্ড গড়ে সিরিজটি।’’

গণমাধ্যমকে কাজল আরেফিন অমি বলেন, "ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৫-এর প্রি-বুকিংয়ে যেটা ঘটছে, বাংলাদেশের ওটিটি মার্কেট তা আগে কখনও দেখেনি। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ওটিটি ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাচ্ছে। এই অর্জন আমার একার বা বঙ্গের না, বাংলাদেশের গোটা ওটিটি ইন্ডাস্ট্রির জন্যই এটি একটি অর্জন।’’

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টক ট ভ ন টক র কর ড স জন ৫

এছাড়াও পড়ুন:

৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের (নবনীতক ৯) শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সমাপনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক মঞ্চে আসীন হন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান সাত উপাচার্য।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক।

আরো পড়ুন:

নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

এক মঞ্চে একইসঙ্গে এতজন উপাচার্যকে পেয়ে সমাপনী ব্যাচসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “এভাবে একসঙ্গে পুরো সেশনের শিক্ষা সমাপনী আয়োজনের আইডিয়াটি অত্যন্ত চমৎকার। এতে করে একটি ব্যাচের একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ ঘটে। যেখানে সবার একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট প্রকাশ হয় এবং কোনো সেশন জট থাকে না। আমি এই আইডিয়াটি আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”

খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ এখানে এসেছি সংহতি জানানোর জন্য। আমি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জীবনে সফলতা কামনা করছি।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিসিএস দেওয়া, বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা বা ব্যবসা করার লক্ষ্য থাকে। তবে জীবনে কোনো না কোনো কিছু করতেই হবে। এক্ষেত্রে অবসর বলে কোনো শব্দ থাকা উচিত নয়।”

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমি যখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করতাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি কখনোই দেখিনি। আর বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে কখনো একসঙ্গে সাতজন উপাচার্যকেও বসতে দেখিনি, এটা অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর করে দেখিয়েছেন।”

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, “আমরা যদি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করি, আমাদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এমন কিছু করার মানসিকতা রাখতে হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষা সমাপনী মানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে, যেখানে অ্যালামনাই থেকে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। তাই নিজেকে বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব নিতে হবে।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেকে চেনাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আর শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনই বলে দেবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে।”

প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর আগত উপাচার্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় এবং অচিরে দাঁড়াবেই।”

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির দুইটি হিট প্রকল্প পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাব। আমরা আশা করছি, বি ক্যাটাগরি থেকে আগামী অর্থবছরের আগেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।”

গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে বুধবার ছাত্রদের কালার ফেস্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের কাছে তেল বিক্রি করতে পারে পাকিস্তান, খোঁচা দিলেন ট্রাম্প
  • কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর ডিনার, গুঞ্জন
  • শিক্ষার্থী সাজিদ স্মরণে ইবিতে ব্যতিক্রমী আয়োজন
  • ৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
  • আমির খানের বাসায় একসঙ্গে ২৫ পুলিশ কর্মকর্তা, উঠছে নানা প্রশ্ন