নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি মহিলা পরিষদের
Published: 11th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাংস চুরির অভিযোগে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একই সঙ্গে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতকরণে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ বুধবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ জুন বিকেলে প্রতিবেশী রিপন আলীর স্ত্রী ওই (ভুক্তভোগী) নারীকে পেয়ারাগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। এরপর রাতের বেলায় আরও কিছু লোক ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এরপর প্রতিবেশীর বাড়িতে তুলে নিয়ে ভুক্তভোগীর চুল কেটে দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ওই দিনই রাত ১০টার দিকে ইউপি সদস্য শাহ আলমের নেতৃত্বে এক সালিসে ভুক্তভোগীর দুটি গরু, একটি ছাগল ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মহিলা পরিষদ বলেছে, ‘বেআইনি সালিস ও ফতোয়ার মাধ্যমে নারীকে শাস্তি ও জরিমানা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নিষিদ্ধ। এ ধরনের বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম নারীর জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।’
আরও পড়ুননারীর চুল কেটে নির্যাতন, থানা ঘেরাও করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল