চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে মাঠে ঢলে পড়েন এক যুবক। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ। তিনি সাতকানিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরপাড়া এলাকার মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মামুনুর রশিদ সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। ঈদুল ফিতরের আগে ছুটিতে তিনি দেশে আসেন। আগামী রোববার সৌদি আরবের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে গ্রামের যুবকেরা গতকাল রাতে বাতি জ্বালিয়ে ছদাহা ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন। মামুনুর রশিদও ওই ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন। খেলার একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে নগরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামুনুর রশিদের বড় ভাই মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, নগরের ওই হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা জানান হার্ট অ্যাটাকে মামুনুর রশিদের মৃত্যু হয়েছে। মামুনুর আগে থেকেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের রক্তনালিতে দুটি স্ট্যান্ট (রিং) পরানো হয়েছিল।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি হার্ট অ্যাটাকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এলাকায় দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ১৭ মাস বয়সী একটি মেয়েসন্তান আছে। আজ বুধবার জোহরের নামাজের পর তাঁর লাশ দাফনের কথা রয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা