দেশীয় শোবিজের সু-অভিনেত্রীদের একজন অপি করিম। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সবার মধুর অভিযোগ, নিয়মিত কাজ করেন না। ছোট পর্দায় তাঁকে মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও বড় পর্দায় তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সবশেষ ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল দেশের গুণী এই অভিনেত্রীকে। সেখানে ওপার বাংলার ঋত্বিক চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। বছর দুয়েক পর ‘উৎসব’ সিনেমা দিয়ে ফিরলেন বড় পর্দায়।

অভিনয়ে ফেরার আগেও নিজের ভেতরে কাজ করেছে সংশয়। নিজেই নিজের কাছে প্রশ্ন করেছেন বারবার। অপি করিম বলেন, ‘আমি এমনিতেই কাজ কম করি। সেই জায়গা থেকে নিজেকে নিয়ে কিছুটা সংশয়ে ছিলাম। দীর্ঘদিন অভিনয়ে না থাকলে দর্শক শিল্পীদের ভুলে যায়। নিজেকে প্রশ্ন করেছি; দর্শক আমাকে ভুলে গেল না তো? সিনেমা মুক্তির পর সেটা কেটে গেছে। কারণ, দর্শক আমাকে মনে রেখেছে। দর্শকের মনে আমি সেই জায়গাতেই আছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। একটা কাজ যখন দর্শকের ভালো লাগে, তখন আরও কাজ করার আগ্রহ জাগে।’

মাঝে বেশ লম্বা সময় অভিনয় থেকে থেকে দূরে ছিলেন অপি করিম। সময় দিয়েছেন শিক্ষকতায় ও নিজের আর্কিটেক্ট ফার্মে। তবে বর্তমানে শিক্ষকতায় খুব বেশি ব্যস্ততা নেই। তাই অভিনয়ে বেশি সময় দেওয়ার ইচ্ছে তাঁর।

অপি করিমের কথায়, ‘একটা সময় শিক্ষকতার কারণে অভিনয়ে কম সময় দিয়েছি। এখন শিক্ষকতা ফুল টাইম করছি না। আমার নিজস্ব একটা ফার্ম আছে, সেখানে সময় দেই। ফলে অভিনয়ে বেশি সময় দিতে পারছি। একেক সময় আপনার জীবন বা মনই বলে দেবে কোনটা করা বেশি জরুরি। সেই জায়গা থেকে এখন অভিনয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

তাঁর কথা শুনে বোঝা গেল, প্রকৃত একজন শিল্পীর যেমন অভিনয়ের ক্ষুধাটা থেকেই যায় তেমনি সেটা রয়ে গেছে অপির ভেতরেও। সেই জায়গা থেকে ভালো কনটেন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তিনি।

অপি করিমের ভাষ্য, ‘অভিনয় সব সময় করতে চাই। সব সময় ব্যাটে-বলে হয়ে ওঠে না। সিনেমার অনেক ধরন আছে। ‘উৎসব’ সিনেমাটি আমার মনের মতো। তাই এ সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। শুধু সিনেমা নয়, দেশের নাটক, ওটিটি কনটেন্টসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। আমি চাই দর্শক ভালো কনটেন্টগুলো দেখুক। আমরা অনেক কষ্ট করে কাজ করি। দর্শক যদি সেগুলো দেখেন, তাহলেই আমাদের কষ্টের সার্থকতা।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষকত ক জ কর সময় দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক