পুকুরে কাচের বাড়ি বানাচ্ছেন পরীমণি!
Published: 12th, June 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও লাস্যময়ী তারকা পরীমণি যেন নিজের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে একেকটি রঙিন উৎসবে রূপ দিতে জানেন। গ্ল্যামারাস শুটিং ফ্লোর কিংবা এফডিসির আলোঝলমলে আঙিনা-সবকিছুকে আনন্দে কাটাতে পছন্দ করেন। তিনি এখন খুঁজে নিচ্ছেন জীবনের আসল আনন্দ গ্রামে, প্রকৃতির কোলে।
এই ঈদুল আজহাও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পরী এবারও সময় কাটালেন পিরোজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে, প্রিয় নানাবাড়িতে। গাছের ডালে দোল খাওয়া থেকে শুরু করে পুকুরে জলকেলি—সব মিলিয়ে যেন শহরের কোলাহল থেকে পালিয়ে এক ফ্যান্টাসি জগতে ঢুকে পড়েছেন তিনি। আর সেখানেই দিয়েছেন এক অভিনব ঘোষণা—নিজের শৈশবের প্রিয় পুকুরের ওপরই বানাবেন কাচের বাড়ি!
পরীমণির ভাষায়, "এখানেই আমার সমস্ত শৈশব! এখানে আসলেই আমি ছোটবেলায় ফিরে যাই। কয়েকদিন পর এই পুকুরটা থাকবে না। এখানে একটা কাচের বাড়ি বানাব, ইনশাআল্লাহ।”
আরো পড়ুন:
পরীমণির চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি: ক্রাশ খান গোপনে, হাসেন একা
মানবসেবায় পরীমণির ‘বডি’
এই ঘোষণার সঙ্গে পরী তার পুকুরে সাঁতার কাটার একটি ভিডিও পোস্ট করলে, মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনুরাগীদের কৌতূহল ও উত্তেজনা এখন কাচের সেই স্বপ্নবাড়ি ঘিরেই। কেউ কেউ একে পরীর ‘জলমহল’ বলছেন, কেউবা বলছেন-‘স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ’। বাংলাদেশের শোবিজ ইতিহাসে এ ধরনের ঘোষণা সত্যিই ব্যতিক্রমী।
এক সময় ঈদুল আজহায় এফডিসিতে গরু কোরবানি দিয়ে শত শত মানুষের মাঝে মাংস বিলিয়ে দিতেন পরীমণি। সেটা ছিল তারকা হওয়ার আরেক রূপ। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে পরীও। জীবনে এসেছে প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, মাতৃত্ব, জেলখানা—এবং হারানো এক প্রিয় নানার শোক। সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন পরীমণি একজন ‘সিঙ্গেল মাদার’, যিনি দুই সন্তানকে ঘিরেই খুঁজে নিচ্ছেন জীবনের মানে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এখনো অগণিত ভক্তের ভালোবাসায় জড়িয়ে। আর এবার, সেই ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে একটি ‘কাচের বাড়ি’। যার নীচে থাকবে শৈশবস্মৃতির পুকুরের জল, আর ভিতরে থাকবে সময় ছুঁয়ে যাওয়া এক পরীমণির গল্প।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি
জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।
‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।