নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়ীয়া এলাকায় কালিয়া–বড়দিয়া আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার বড় কালিয়া এলাকার জাফর মুন্সী (৭০) ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশাচালক বাবুল শরীফ। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে স্ত্রী মর্জিনাকে নিয়ে বড় কালিয়া এলাকা থেকে অটোরিকশায় বড়দিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন জাফর। পথে তালবাড়ীয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চালক বাবুল, যাত্রী জাফর ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জাফর ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাবুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপর ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন বলে জানান নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই চালককে ধরতে অভিযান চলছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’

বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’

ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ