বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। যদি দেশের ভালো চান তাহলে লন্ডন থেকে ফিরে এসে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।”

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) খুলনা প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ এ তিনি এ কথা বলেন।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “জাপান সফরকালে ড.

মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন যে-একটি দল ছাড়া আর কেউ ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না। অথচ কমিউনিস্ট পার্টিসহ অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা না হলে বাম শরীক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কমিউনিস্ট পার্টি পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।”

আরো পড়ুন:

শরীয়তপুরে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

নিয়ম রক্ষার বা‌জেট: এবি পার্টি

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ আমরা চাই না। কিন্তু তারা যে ধরনের গণহত্যা চালিয়েছে, এ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কথা বলার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়েছে। দ্রুত নির্বাচন না হলে পতিত শক্তি সামনে আসার সুযোগ পাবে।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। দেশে ভয়ের রাজত্ব তৈরি করেছিল। দলীয়করণ এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যে মানুষ কথা বলতেও ভয় পেত।”

লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বল এখন সরকারের কোর্টে। সরকারই ঠিক করবে কবে নির্বাচন দিবেন। তবে, দু-একটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সব দলই চায় ডিসেম্বেরের মধ্যে নির্বাচন হোক।”

এপ্রিলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এপ্রিলে রোজা, পরীক্ষা, আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে নির্বাচন আরো দূরে চলে যাবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগের থেকে নির্বাচন খরচ বাড়িয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।” 

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “২৪ এর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটাধিকার প্রয়োগ ও বৈষম্য দূর করা। কাজেই সংস্কার কাজে রাজনৈতিক দলগুলো যতটুকু ঐক্যমত হয়েছে-সেগুলোকে ঠিক রেখে বাকিটা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকারই বাকি সংস্কার এগিয়ে নেবে।”

তিনি বলেন, “আমরা রাখাইনদের করিডোর, বন্দর বিদেশিদের লিজ দেব না। ভূ-রাজনৈতিক কারণে আধিপত্যবাদীরা এটি করতে চাইলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলব।”

করিডর প্রদান প্রিন্স আরো বলেন, “আপনি নতুন যে সংকট তৈরি করছেন তা নিরসন আপনাকেই করতে হবে। করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ কর্মসূচির পরিকল্পনার কথা,” জানান তিনি।

এ সময় সিপিবি নেতা এস এ রশীদ, খুলনা মহানগর সিপিবির সভাপতি এইচ এম শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দল র জন ত ক ন স বল অন ষ ঠ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুবিতে খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • জয় যেন হাতছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে