বন্দরে মাদক কেনার টাকা না পেয়ে বোন মিনা আক্তারকে মারধর  এবং ভাগ্নে আনাসকে (৬) বালিশ চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে জুবায়ের আলম (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।

গত বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের বেপারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জুবায়ের আলম বন্দরের বেপারীপাড়া এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে। এ ব্যাপারে মিনা আক্তার বাদী হয়ে ছোট ভাই জুবায়ের আলমকে আসামি করে  বন্দর থানায় মামলা করেছেন।

মামলার বাদিনী মিনা আক্তার জানান, তার ভাই জুবায়ের মাদকাসক্ত। নেশার টাকার জন্য সে প্রায়ই পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। বুধবার রাতে জুবায়ের তার কাছে মাদক দ্রব্য কেনার জন্য টাকা চায়।

দিতে অস্বীকার করায় জুবায়ের তাকে গালিগালাজ করে ও  লোহা রড দিয়ে পিটিয়ে  আহত করে। এক পর্যায়ে জুবায়ের তার ৬ বছরের ছেলে আনাসকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার  করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।

বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,  এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ