গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ৩ বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২
Published: 15th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ৩টি বাসের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কের ওই স্থানে যানচলাচল বন্ধ থাকে।
পুলিশের এটিএসআই রফিকুল ইসলামসহ ও বাসের হেল্পারের মৃত্যুর বিষয়টি ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো.
এটিএসআই রফিকুল ইসলাম ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তবে নিহত বাস হেল্পারের নাম ঠিকানা পুলিশ জানাতে পারেনি।
ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. মাকসুদুর রহমান মোরাদ জানান, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরমান পরিবহনের একটি বাস। সঙ্গে সঙ্গে এসপি গ্রীন লাইনের অপর একটি যাত্রীবাহী বাসেরও ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় আরমান পরিবহনের হেল্পার ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছিল। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী নিউ বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনা কবলিত ২টি বাস ও ট্রাককে ধাক্কা দিলে চতুর্মুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুল ইসলামসহ ৩ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সাড়ে তিনটা থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সড়ক থেকে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মালেক আলী সরদারের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত গ প লগঞ জ কর মকর ত দ র ঘটন হ ইওয় র একট
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বিএনপি কর্মী কুদরত আলীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে এস এম তানভীর আরাফাতকে কুষ্টিয়া আদালতে আনা হয়। এরপর দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে হাজিরা করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ১টা ৫১ মিনিটে আদালত থেকে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির আরেক কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে আছেন।
আরো পড়ুন:
মেহেরপুরে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ‘শুটার’ মান্নান নিহত
উপপুলিশ কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বিতর্কিত ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া জেলায় আসার পর থেকে নানা কর্মকান্ডে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এমনকি, তখন এ সব কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। বিভাগীয় শাস্তিও পেতে হয়।
নিহত বিএনপি কর্মী কুদরত আলীর ছেলে বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, কুদরত আলী বিএনপির সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি দলের সঙ্গে আছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু সুবিধাভোগী পুলিশ সদস্য কুদরত আলীকে মিথ্যা মামলায় আটক ও হত্যার পরিকল্পনা করে। এই ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার, এসআই রোকনুজ্জামান, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই শাহজাহান, এএসআই আনিচুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আহমেদসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা কুদরত আলীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই রাত ২টার দিকে ১০-১২ জন পুলিশ কুদরত আলীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ২৫ জুলাই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বুকের ডান দিকে ও বাম দিকে দুটি গুলির চিহ্ন, দুই হাতে, পিঠে, মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
বাদী মামলায় দাবি করেন, কুদরত আলীকে গুম করে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে চলে যায়।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, দৌলতপুর থানার একটি মামলায় এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন।
২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া সাবেক এসপি এস এম তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড় ভাই সুজন হোসেন (৪২) বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহত সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল