বাড়ির পাশে পানিতে ভাসছিল শাড়ি, খুঁজে পাওয়া গেল বৃদ্ধার লাশ
Published: 15th, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে পানিতে ডুবে আশালতা দাস (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে বাড়ির পেছনে জলমগ্ন জমি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি মধ্য বাছিরপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্মল দাসের স্ত্রী।
স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, সকালে আশালতা ঘরে না থাকায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পেছনের জলমগ্ন জমিতে তাঁর শাড়ি ভাসতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে সেখানে খোঁজ করে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ওই এলাকার নিচু জায়গাগুলো এখনো পানিতে ডুবে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, আশালতা অসাবধানতাবশত সেখানে পড়ে গিয়ে ডুবে যান।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে ১৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাসহ অনেক এলাকা।
এতে জনজীবনে ভোগান্তির পাশাপাশি মাঠের ধান হেলে পড়েছে। মাসকলাই ও সবজির ক্ষতি হয়েছে। মাঠে কৃষির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
গতকাল শুক্রবার প্রায় সারা রাত বৃষ্টির পর আজ শনিবার সকালে পানি জমে থাকতে দেখা যায় শহরের সার্কিট হাউস সড়ক, নিউমার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক, পুরাতন বাজার, নিমতলা, বাতেন খাঁ মোড়সংলগ্ন সড়ক, প্রফেসর পাড়া, জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা প্রশাসকের বাসভবনসহ অনেক এলাকায়।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের কোর্ট এলাকাসহ অনেক এলাকা জলমগ্ন ছিল। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানিনিষ্কাশনে এত ধীরগতি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইয়াছিন আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত ২০ বছরে এক দিনে এত বৃষ্টি হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। শুক্রবার রাতে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সদরে ২৬০ মিলিমিটার, শিবগঞ্জে ১৭৫ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ১৮০ মিলিমিটার, নাচোলে ১৭৫ মিলিমিটার ও ভোলাহাটে ১৬৫ মিলিমিটার। জেলায় গড় বৃষ্টির পরিমাণ ১৯১ মিলিমিটার।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক এলাকার মাঠে থাকা ধান কিছুটা হেলে পড়েছে। কৃষির কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা।’
বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া একটি ধানখেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ফিল্টিপাড়ায়