নরসিংদীতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী সৈকত গ্রেপ্তার
Published: 16th, June 2025 GMT
নরসিংদীর শিবপুর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের হোতা ও সন্ত্রাসী সৈকত আলী ওরফে শওকতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার ( ১৬ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় পরিচালিত গোপন অভিযানে তাকে একটি বিদেশি রিভলবার ও এক রাউন্ড তাজা গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শওকত (২৬) শিবপুর উপজেলার বানিয়াদি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পলাতক ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বোচাগঞ্জ থানার ওসির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
চিন্ময় দাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। পুলিশ জানান, শওকতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, তিনটি হত্যাচেষ্টা এবং মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
ঢাকা/হৃদয়/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত হত্যার ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত মোল্লা (২০) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত মাকসুদুর রহমান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার মেহেদী আবু কাওসার, জনি মোল্লা ও আবু রাসেল শেখ (পলাতক), রবিদাসপল্লির রাজেশ রবিদাস এবং গোয়ালচামট মহল্লার রবিন মোল্লা। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রাজবাড়ীর সদরের মসলিসপুর গ্রামের বাদশা শেখকে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন বাদে বাকি সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শওকত মোল্লা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আয়নাল মোল্লার ছেলে। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ১৫ নভেম্বর সকালে শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কের পাশের একটি ধানখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ১৬ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শওকতের বাবা আয়নাল মোল্লা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শওকতকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ইজিবাইক ও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি চৌধুরী জাহিদ হাসান জানান, বর্তমানে ইজিবাইক হাতিয়ে নেওয়ার জন্য খুনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি সমাজের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।