ডাকসু নির্বাচনকে বানচালের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এবং শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভয় দেখানের জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ

তিনি বলেন, “যারা এই ক্যাম্পাসে আগের কায়দায় ককটেল, বোমা ও লাশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিশীল করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশকে বিনষ্ট করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাদের কালো হাতকে শিক্ষার্থীরা সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।“

ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ওতপ্রোতভাবে লেগে আছে মন্তব্য করে করে ইয়ামিন বলেন, “ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই সুচারুরূপে ফাংশন করা সম্ভব নয়। এজন্যই ডাকসু দরকার।”

এ সময় বিন ইয়ামিন জানান, ডাকসুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহতাব ইসলাম, আরবি বিভাগের নুরুল গনি সগীর, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইয়াসিন আরাফাতসহ আরও কয়েকজন অবস্থান করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থী, এবং বিভিন্ন অধিকারভিত্তিক এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে।

মোহাম্মদ মাহতাব ইসলাম বলেন, “গণ অভ্যুত্থান পরবর্তীতে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, আমরা চেয়েছিলাম ছাত্রদের কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। প্রশাসন ছাত্রদের হয়ে কাজ করবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি ডাকসু দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা বলব প্রশাসনের ডাকসু দেওয়ার সাহস নেই। তাদের এই ক্যাম্পাসে থাকারো কোনো অধিকার নেই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ব চনক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ