ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে জুনেল মিয়া: পুলিশ
Published: 16th, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার স্কুলছাত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর তার জবানবন্দীতে বেরিয়ে আসে মূল তথ্য। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জুনেল জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভের মাথায় ওই ছাত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রিমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
পুলিশ জানায়, কুলাউড়া উপজেলার দাউদপুর গ্রামের নিকটবর্তী সিংগুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তার অর্ধগলিত লাশ গ্রামের একটি ছড়া থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ঘটনা তদন্তকালে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের প্রতিবেশী জুনেলকে আটক করা হয়। রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জুনেল জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভের মাথায় ওই ছাত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১২ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীর গতিরোধ করেন জুনেল। এ সময় সে চিৎকার করলে ক্ষিপ্ত জুনেল তার গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর লাশ স্থানীয় কিরিম শাহ মাজারের অদূরে জঙ্গলের নিকটবর্তী ছড়ার (খাল) পাড়ে ফেলে আসেন তিনি।
নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তর জন্য মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নিহতের মায়ের করা পূর্বের অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) নোবেল চাকমা, কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার, পরিদর্শক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি