রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘বিশেষ নির্দেশে’ রুশ প্রেসিডেনশিয়াল নিরাপত্তা উপদেষ্টা সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, শোইগুর এ সফরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাস জানিয়েছে, সফরে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শোইগু আলোচনা করবেন। আলোচনার বিষয় হবে, চলতি মাসের শুরুতে তাঁর পিয়ংইয়ং সফরে গত বছরের ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারত্ব’ চুক্তির আওতায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন।

গত দুই বছরে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। গত তিন মাসে শোইগুর এটি তৃতীয় উত্তর কোরিয়া সফর। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক সহায়তা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মস্কোকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে।

তবে শোইগুর বর্তমান সফরের আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয় কিংবা পুতিনের ‘বিশেষ নির্দেশনা’ সম্পর্কে তাস বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

গত দুই বছরে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। গত তিন মাসে শোইগুর এটি তৃতীয় উত্তর কোরিয়া সফর। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক সহায়তা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মস্কোকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে।

রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে লাখ লাখ গোলাবারুদ ও কয়েক হাজার সেনা সরবরাহ করেছে।

এদিকে কিম জং–উন রাশিয়ার বর্তমান নীতিকে ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ জানিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সহায়তা পেতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

৬০ হাজার ৮০২ টন গম নিয়ে দেশে এল যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জাহাজ 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ৬০ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি স্পার এরিস নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।

সোমবার (২ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

আমি থাকাকালে তাইওয়ানে হামলার ‘পরিণতি কী হবে’ চীন জানে: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশের সরকারে মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে জি টু জি ভিত্তিতে এ আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) চুক্তিটি সই করে। এর আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।

জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ২৫ অক্টোবর প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশে পৌঁছায়। 

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ