সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন নাজমুল হোসেন। কিন্তু মুশফিকুর রহিমের উচ্ছ্বাস যেন ছাড়িয়ে গেল তাঁকেও। সতীর্থের তিন অঙ্ক ছুতে পারার আনন্দে দুই হাত ছড়িয়ে উদ্‌যাপন করতে দেখা গেল মুশফিককে। গল টেস্টের প্রথম দিনের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেও মুশফিকের কণ্ঠে সতীর্থের আরও বড় অর্জন উদ্‌যাপন করতে চাওয়ার সুর।

নাজমুলের সঙ্গে মুশফিকের অপরাজিত ২৪৭ রানের জুটিতে ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। নাজমুল ১৩৬ ও মুশফিক অপরাজিত আছেন ১০৫ রানে। কাল তাঁরা বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন।

খুব স্বাভাবিকভাবেই দুজনের কাছে আগামীকাল আরও বড় কিছুর আশা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, দুজনের কাছেই ডাবল সেঞ্চুরি চাইবেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। আরও বড় কিছু করার আশা মুশফিকেরও, সঙ্গে নাজমুলের কাছ থেকেও ডাবল সেঞ্চুরি চান বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘এটা ভালো লাগার বিষয় যে যেখানে আমি শেষ করেছিলাম (গলে), মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ওই জায়গা থেকে শুরু করতে পেরেছি। চেষ্টা থাকবে নিজেরটা (ইনিংস) যত বড় করতে পারি। আর শান্তর (নাজমুল) যেহেতু এখনো একটাও ডাবল সেঞ্চুরি নেই, তো অবশ্যই ২০০ কেন নয়? ২০০-২৫০ যতটুকু করতে পারে, সেটা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে।’

আরও পড়ুনগলে ফিরলেন পুরোনো মুশফিক, জাগলেন নতুন নাজমুল২ ঘণ্টা আগে

নাজমুলের সেঞ্চুরির পর নিজের এমন উদ্‌যাপনের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘এটা স্বাভাবিক, কেউ একটা বড় অর্জন করলে এটা সেলিব্রেট করতেই হবে। আর অবশ্যই আমার ওপরে আরও দায়িত্ব বেশি সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে।’

এই গলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড বল স ঞ চ র

এছাড়াও পড়ুন:

বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ