সরকার ডিএসসিসির সেবায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে দায় চাপাচ্ছে আমাদের ওপর: ইশরাক
Published: 18th, June 2025 GMT
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার বিভিন্ন উপায়ে পরিকল্পিতভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সেবায় বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা নগরবাসীকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং দায়ভার আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।’ বুধবার নগর ভবনে কর্মচারী ও ‘আমরা ঢাকাবাসী’র চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন চলমান থাকা অবস্থাতেও আমরা জরুরি সেবা চালু রেখেছি। কিন্তু সরকার থেকে বিশেষ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের কাজ করতে নিষেধ করেছেন বলে শুনতে পেয়েছি।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) জানতে পেরেছি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও সচিব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তারা জন্ম নিবন্ধন বা নাগরিক সনদে স্বাক্ষর না করেন। একটা ন্যক্কারজনক কাজ করতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে, সেবায় বিঘ্ন ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাতে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকাল আসিফ মাহমুদ বলেছেন, আমি নাকি আইন লঙ্ঘন করেছি এবং ফৌজদারি অপরাধ করেছি। আমি তাঁকে বলতে চাই, আমি যদি অপরাধই করে থাকি তাহলে আপনারা সরকারে থেকেও কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছেন না।’
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কেন নির্দেশ দিচ্ছেন না আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা এসব ভয় পাই না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭ বছর আমরা যুদ্ধ করেছি, জেল খেটেছি, গুম হয়েছি। যত ধরনের নির্যাতন আছে সহ্য করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি।’
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ইঙ্গিত করে ইশরাক বলেন, ‘আজকে যা কিছু হচ্ছে সবকিছুর জন্যই বর্তমান সরকার দায়ী। সরকার লোকজন দিয়ে এসব কথা বলাচ্ছে এবং আমাদের হেয়প্রতিপন্ন ও খাটো করার চেষ্টা করছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ইশর ক হ স ন ড এসস স আম দ র ইশর ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে সৈকতে ভেসে এল মাঝিমাল্লাবিহীন ট্রলার
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হাজমপাড়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে মাঝিমাল্লাবিহীন একটি বড় ফিশিং ট্রলার। জোয়ারের পানিতে আটকে পড়া ট্রলারটি উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রলারে থাকা মালামাল ও কাঠ স্থানীয় লোকজন লুট করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বুধবার বিকেলে ট্রলারটি হাজমপাড়া সৈকতে ভেসে আসে। এ সময় সেটিতে কোনো মাঝিমাল্লা ছিলেন না। বিষয়টি স্থানীয় কোস্টগার্ড খতিয়ে দেখছে।
স্থানীয় জেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এর মধ্যে আজ বিকেলে বড় আকারের একটি ফিশিং ট্রলার ভেসে আসে। সেটি সৈকতের কাছেই আটকে পড়ে এবং ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাঙতে শুরু করে। এরপর কিছু লোকজন ট্রলার থেকে কাঠ ও মালামাল লুটে নেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ট্রলারটি মানব পাচারে ব্যবহারের জন্য সমুদ্রে রাখা হয়েছিল। সাগর উত্তাল হওয়ায় পাচারকারীরা ট্রলারটি ফেলে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।
টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মাঝিমাল্লাবিহীন একটি ট্রলার ভেসে আসার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কোস্টগার্ড বিষয়টি তদারক করছে।