পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি পর্যালোচনায় দুই কমিটি
Published: 18th, June 2025 GMT
সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দুই দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। পরে এটি সাত দফায় পরিণত হয়। তাঁদের দাবি, পর্যালোচনায় দুটি আলাদা কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ।
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যমান পল্লী বিদ্যুৎ কাঠামো পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা কমিটির। ওই কমিটিকে দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আজ বুধবার একটি চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় পবিসসমূহে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কমিটির প্রতিবেদনের খসড়া উপস্থাপনের সময় অংশীজনদের দেওয়া মতামত যুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
আরইবি ও পবিস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠনের দাবি পর্যালোচনায় ১৭ জুন একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। এ কমিটি আগে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ বিবেচনাসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এ ছাড়া একই দিনে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে আরেকটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পবিসের চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে তারা। সব মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের পুনর্বহাল, সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত এবং অন্যায়ভাবে বদলি করা কর্মীদের পদায়নের বিষয়টি সংবেদনশীলতা ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে সুপারিশ করবে কমিটি।
গত বছরের শুরু থেকেই দুই দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের একজনের গ্রেপ্তারকে ঘিরে গত অক্টোবরে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। এরপর থেকেই কারও কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ বিভিন্ন রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে আরইবি। এরপর গত ২১ মে ৭ দফা দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন কয়েক হাজার কর্মী। গত ২৬ মে থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সরকারের দাবি মানার আশ্বাসের ভিত্তিতে ৫ জুন আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
পবিসের দাবির মধ্যে আছে এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিস একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন করা; মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা এবং মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিতে পুনর্বহাল।
এর আগে আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর গত বছরের ২৩ অক্টোবর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ই কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল