১৩ বছরের বড় মডেলের প্রেমে মজেছেন ইয়ামাল
Published: 18th, June 2025 GMT
ফুটবল দুনিয়ায় নতুন সম্ভাবনার নাম লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার এই স্প্যানিশ তারকা ইতোমধ্যেই নিজের দক্ষতায় মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। ব্যস্ত মৌসুম শেষে ১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল লম্বা ছুটিতে আছেন। স্প্যানিশ দৈনিক ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ দাবি করেছে, ১৩ বছরের বড় প্রেমিকা স্প্যানিশ মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার ও বিমান ক্রু ফাতি ভাজকেজের সাথেই নাকি তার এই লম্বা ছুটি কাটছে। আসলেই ঘটনা কতটা সত্যি?
ছুটি কাটাতে ইতালিতে অবস্থান করছেন ইয়ামাল। সেখানে একটি রিসোর্টের সুইমিংপুলের পাশে বিশ্রামরত একটি ছবি তিনি প্রকাশ করেন ইনস্টাগ্রামে। এরই মধ্যে স্প্যানিশ মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার ও বিমানকর্মী ফাতি ভাজকেজও একটি ছবি প্রকাশ করেন ইনস্টাগ্রামে.
মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, ইয়ামাল ও ৩০ বছর বয়সী ফাতি ভাজকেজ একই রিসোর্টে সময় কাটিয়েছেন এবং দুজন প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুজনের বয়সের ব্যবধান ১৩ বছর হলেও তা যেন বাধা নয় ভালোবাসায়। আরেক স্প্যানিশ সাময়িকী লেকচারাস একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে ইয়ামাল ও ফাতিকে একসঙ্গে স্পিডবোটে দেখা যায়। ইয়ামাল চালাচ্ছেন, আর পেছনে বসে তাঁকে জড়িয়ে ধরে আছেন ফাতি। এতে সম্পর্কের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন ইনফ্লুয়েন্সার জাভি দে ওইয়োস। তিনি দাবি করেছেন, ইয়ামাল ও ফাতির মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি নিজেও ওই রিসোর্টে ছিলেন এবং জানিয়েছেন, ইয়ামালের সঙ্গে বার্সেলোনার আরও কয়েকজন সতীর্থও সেখানে ছিলেন।
তবে প্রেমের গুঞ্জন ছড়ানোর পর থেকেই নানা হুমকির মুখে পড়েছেন ফাতি। এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে কিছু মানুষ এমন অন্ধভাবে ঘৃণা করে যে, তারা এমন একজন মানুষের মৃত্যুকামনা করে যাকে তারা চিনেই না। আমি তাদের আরোগ্য কামনা করি, যেন তারা আর কাউকে ধ্বংস করতে না চায়।’
পেশায় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ফাতি ভাজকেজ একজন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারও। ইউটিউবে তার অনুসারী ১০ লাখের বেশি, ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৪ লাখ ও টিকটকে ৩ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি অনুসারী রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইনফ ল য় ন স র ইনস ট গ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘দেশে যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ, চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে নারীসমাজকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। আমি বাংলাদেশের মা-বোনদের আহ্বান জানাই, আপনারা সচেতন ও সজাগ থাকুন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পটভূমিতে নারীসমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে উল্লেখ করে সভায় তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা চাই, একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ হওয়া উচিত, তেমনই একটি ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।’
তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে যেসব পরিবার আপনজন হারিয়েছে, তাদের আত্মত্যাগের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। এসব পরিবারে একজন পুরুষ সদস্যের মৃত্যুর পর একজন নারী যেভাবে প্রতিদিন সংসার টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, তা এক অনবদ্য সংগ্রাম।
নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির মূলধারার বাইরে রেখে কখনোই নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়। নারীশক্তিকে কর্মপরিকল্পনার বাইরে রেখে কোনো রাষ্ট্রই এগিয়ে যেতে পারে না। তিনি বলেন, নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে সবাইকে শিক্ষা ও দক্ষতার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে।
নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, নারীদের স্বাবলম্বী করা গেলে বৈষম্য কমবে, পারিবারিক সহিংসতাও রোধ হবে। তাই বিএনপির স্লোগান হচ্ছে—‘ক্ষমতায়িত নারীশক্তি, পরিবারের মুক্তি।’
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে প্রান্তিক ৫০ লাখ পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করবে। এই কার্ড নারীদের নামে ইস্যু করা হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্রান্তিক পরিবারগুলোকে প্রতি মাসে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক বা খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে এবং পরিবারগুলো ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হবে।
তারেক রহমানের বক্তব্যের আগে সভায় একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এই তথ্যচিত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান তুলে ধরা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আফরোজা খানম বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ছিল অসামান্য। এই লড়াইয়ে সবচেয়ে সাহসী ভূমিকা রেখেছে নারীসমাজ।
যাঁরা রক্ত-অশ্রু ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, সেই নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তাজমেরি এস এ ইসলাম ও তাহসীনা রুশদির, বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম, টক শো উপস্থাপক হাসিনা আখতারের ধারণ করা বক্তব্য সভায় প্রচার করা হয়। সভার সঞ্চালক ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জানানো হয়।