যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের মাঝে এই আলাপ হয়েছে বলে বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। কাশ্মীর নিয়ে নয়াদিল্লি যে তৃতীয় কারও মধ্যস্থতা মেনে নেবে না ফেনালাপে মোদি তা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা তিনি।

মিশ্রি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের আলোচনার সময়ে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘর্ষ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন।  দুই নেতার প্রায় ৩৫ মিনিট আলোচনা হয়।  এ সময় মোদি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থান ট্রাম্পের কাছে ‘শক্তভাবে’ তুলে ধরেন। 

বিবিসি বলেছে, গত মে মাসে  প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের চারদিনের সংঘাতের পর থেকে ট্রাম্প বারবারই ‘কাশ্মীর ইস্যুতে’ দুই দেশের মধ্য মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের জন্য বেশ সংবেদনশীল এই বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন প্রস্তাব নয়া দিল্লিকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলছে।

বিক্রম মিশ্রির মন্তব্য নিয়ে এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। ওই সংঘাতের সময় কোনো পর্যায়েই ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি বা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কোনো ধরনের কথাই যে হয়নি তা ট্রাম্পকে স্পষ্টভাবে জানান মোদি বলেছেন মিশ্রি।

কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়েও ভারত বেশ অস্বস্তির মধ্যে আছে। নয়াদিল্লি কাশ্মীরকে তার অবিচ্ছেদ্য অংশই মনে করে, যে কারণে পাকিস্তানের দখলে থাকা অংশ নিয়ে কারও মধ্যস্থতার তারা তীব্র বিরোধী।ভারত ও পাকিস্তানকে এক পাল্লায় না মাপতে পশ্চিমা অংশীদারদের প্রায়ই বলে থাকে নয়াদিল্লি। পশ্চিমা নেতারা কেউ এই অঞ্চলে সফরে এলে একই সময়ে দুই দেশে না যেতেও অনুরোধ করে তারা।

কিন্তু ট্রাম্পের টুইটগুলোতে প্রায়ই ভারত ও পাকিস্তানকে একই দৃষ্টিতে দেখা হয়। এটা দিল্লির কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক উৎকণ্ঠা তৈরি করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন অবস্থান ভারত-যুক্তরাষ্ট্র চলমান বাণিজ্য আলোচনায় কোনো প্রভাব ফেলে কিনা, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা বেশ মুশকিল, মত বিশ্লেষকদের।

এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনে গেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। তাঁর এই সফর ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আসিম মুনিরের এই সফর নজিরবিহীনও বটে।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের। সেই বৈঠকের আগেই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময়  বুধবার হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের সরকারি সময়সূচিতে এই বৈঠকের উল্লেখ রয়েছে। এই বৈঠক হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট কক্ষে হবে এবং সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ইসলামাবাদে এই সফরকে বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

৬০ হাজার ৮০২ টন গম নিয়ে দেশে এল যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জাহাজ 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ৬০ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি স্পার এরিস নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।

সোমবার (২ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

আমি থাকাকালে তাইওয়ানে হামলার ‘পরিণতি কী হবে’ চীন জানে: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশের সরকারে মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে জি টু জি ভিত্তিতে এ আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) চুক্তিটি সই করে। এর আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।

জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ২৫ অক্টোবর প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশে পৌঁছায়। 

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ