Samakal:
2025-08-03@07:50:25 GMT

এক চিলতে রোদ্দুরে...

Published: 19th, June 2025 GMT

এক চিলতে রোদ্দুরে...

নাটকের আকাশে উজ্জ্বল এক তারার নাম তানিয়া বৃষ্টি। ২০১৫ সালে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছেন। একটানা পথচলার দশ বছর পেরিয়ে আজ তিনি এক পরিপক্ব শিল্পী। এই এক দশকে তাঁর অভিনয়ের পরিধি ছুঁয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র– নরম-কোমল প্রেমিকা, প্রতিবাদী নারী, প্রান্তিক জনপদের নারী, পরিবারের দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের গল্প বলা এক মানুষ। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে ভেঙে গড়েছেন, প্রতিবার যেন নতুন এক তানিয়া বৃষ্টিকে খুঁজে পাওয়া যায়।

তানিয়া বৃষ্টির অভিনয়ে একটি অনাড়ম্বর সৌন্দর্য আছে, যা সহজে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাঁর হাসি যেমন মিষ্টি, তেমনি চোখের ভাষায় খেলা করে এক অনুচ্চারিত বেদনা। অভিনয়ের ভেতরে যে আত্মনিবেদন, তা হয়তো খুব বেশি উচ্চকিত নয়, তবে গভীর। কখনও কখনও ক্যামেরার সামান্য এক দৃষ্টি বিনিময়েই বোঝা যায় দৃশ্যের ভেতরে তাঁর অনুরণন।

ঈদ মানেই উৎসব, আর সে উৎসবে তানিয়া বৃষ্টির নাটক যেন দর্শকের জন্য এক পরম প্রাপ্তি। গত ঈদেও তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। ‘তাসের ঘর’, ‘মানুষ’, ‘ভালোবাসা অন্তহীন’, ‘পাষাণী’, ‘মনে পড়ে তোমাকে’ ও ‘ক্যাফেতে ভালোবাসা’– এই নাটকগুলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রচার হয়েছে ইউটিউব ও টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে। প্রতিটি নাটকে তিনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন। একটি নারীর মনের প্রতিটি স্তর যেন খুলে ধরেছেন তিনি অভিনয়ের পরতে পরতে।

এই জনপ্রিয়তার পথে কেবল ফুল বিছানো ছিল না। কিছু কাজ হয়তো তাঁকেও তৃপ্ত করেনি, কিছু চিত্রনাট্যে হয়তো গভীরতা ছিল না, তবু তিনি বলছেন, এখনকার দিনে গল্প বাছাইয়ে তিনি অনেক বেশি সচেতন। তাঁর কথায়, ‘গল্পের প্রতি আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি মনোযোগী আমি। এখন মনে হয়, নিজেকে বারবার ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে। শুধু ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য কাজ করতে রাজি নই। এখন যেকোনো নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি। কারণ দর্শক গল্পটাই আগে খোঁজেন। এরপর চরিত্রে নিজের অভিনয় করার সুযোগটা কেমন আছে তাও ভেবে দেখি।’ এই আত্মঅনুসন্ধানী মনোভাবই তাঁকে করে তুলছে আরও পরিণত, আরও আবেগপ্রবণ শিল্পী।

শুধু কাজের মাধ্যমে নয়, তানিয়া বৃষ্টি প্রায়ই থাকেন আলোচনায় ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গেও। প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক সবকিছুতে থাকে ভক্তদের কৌতূহল। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আপাতত ব্যক্তিগত জীবনের এসব পরিকল্পনা থেকে দূরে তিনি। বর্তমানে নিজের সব মনোযোগ অভিনয়ে, নিজেকে আরও শিল্পসম্মত করে গড়ে তোলায়।

বরাবরই নাটকের ছোটপর্দা থেকে সিনেমার বড়পর্দার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল তাঁর। ক্যারিয়ারের শুরুতে সুযোগ পেয়ে যান আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ ছবিতে। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব পেলেও নিয়মিত হননি বড়পর্দায়। ছোটপর্দাকে ঘিরে যাঁর স্বপ্ন। এখন তিনি চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। 

২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ দ্বিতীয় রানারআপের মধ্য দিয়ে শোবিজে আসেন তানিয়া বৃষ্টি। এরপরই রচিত হয় শুধুই তাঁর এগিয়ে চলার গল্প। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সংসার ভাঙার কারণ জানালেন শোলাঙ্কি

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। ছোট পর্দার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখলেও এখন সিনেমা, ওয়েব সিরিজ—সব মাধ্যমেই তার সরব উপস্থিতি। ব্যক্তিগত জীবনে ছোটবেলার বন্ধু শাক্য বোসের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন এই অভিনেত্রী। কয়েক বছর আগে তার এ সংসার ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের খবর জানালেও কেন তার সংসার ভেঙেছে তা এতদিন জানাননি। 

কয়েক দিন আগে ‘স্টেট আপ উইথ শ্রী’ পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন শোলাঙ্কি রায়। এ আলাপচারিতায় এ অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের সমস্যাটা হয়েছিল মূলত দূরত্ব নিয়ে। আমরা দুজন দুটো আলাদা টাইম জোনে থাকতাম। তারপর আমার কাজের যা সময় ছিল, তারপর আমাদের আর সেভাবে কথা হতো না। আমার যখন কাজ শেষ, ও তখন ঘুম থেকে উঠত আর অফিসের জন্য বেরিয়ে যেত। হ্যাঁ, আমাদের বিয়ে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমরা বৈবাহিক জীবনযাপন করতাম না। একটা সময় আমরা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিই, বিষয়টি খুব খারাপ দিকে যাচ্ছে।”

পরের ঘটনা বর্ণনা করে শোলাঙ্কি রায় বলেন, “পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে কেউ না কেউ বিদ্রোহ ঘোষণা করবেই। তাছাড়া ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম, ওর পক্ষে সব ছেড়ে এখানে এসে থাকা সম্ভব নয়। আর আমার পক্ষেও সম্ভব হয়নি। অবশ্যই, প্রথম ছয় মাস চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।”

আরো পড়ুন:

আবার প্রেমে পড়েছেন ‘ঝিলিক’

বিয়ে করলেন শ্রাবন্তীর প্রাক্তন স্বামী

বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে সামাজিক ট্যাবুর কথা স্মরণ করে শোলাঙ্কি বলেন, “মুশকিলটা হচ্ছে ডিভোর্স আমাদের দেশে এখনো একটা ট্যাবু। আর অনেকেই মনে করেন ডিভোর্স মানেই—হয় মেয়েটি ঠকাচ্ছে অথবা ছেলেটি।” 

২০১৮ সালের শুরুর দিকে স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্য বোসকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। ধুমধাম করে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। এরপর বরের হাত ধরে নিউজিল্যান্ড পাড়ি জমান। বছর খানেক পর ভারতে ফিরেন শোলাঙ্কি। এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে নিউজিল্যান্ডে যাতায়াত। তারপর জানা যায় তাদের ডিভোর্স হয়েছে। মাঝে সোহম মজুমদারের সঙ্গে শোলাঙ্কির প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। যদিও গুঞ্জন উড়িয়ে দেন এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংসার ভাঙার কারণ জানালেন শোলাঙ্কি
  • গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের ভোটিং প্যানেলে ৫ বাংলাদেশি
  • মোশাররফ করিমের ২৪ মিনিটের সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রের উৎসবে
  • ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • কর্মীদের মতের মূল্য নাই, জিএম কা‌দের দল চালান স্ত্রীর কথায় 
  • ব্রেন হ্যাক: স্বাভাবিক হওয়ার পাঁচ উপায় জেনে নিন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা