কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মো. হোসেইন নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে বিষপান করিয়ে ও অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়। হোসেইন মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সে শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজন জানান, দুই মাস আগে বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মইনুল হোসেনের মুদি দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সাইমুন নামে একজন জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হলে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন মাতবররা। ওই সালিশে সাক্ষ্য দেন হোসেইনের বাবা আবু তাহের। এতে ক্ষুব্ধ হয় সাইমুন।

আবু তাহের বলেন, ৩১ মে সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিন মিলে আমার ছেলেকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক বিষপান করায় এবং তার অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে ঝলসে দেয়। এর পর থেকে সে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।

হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের মেডিসিন কনসালট্যান্ট অরূপ কুমার রায় জানান, বিষক্রিয়ায় শিশুটির গলা ফুলে গিয়েছিল। সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার অণ্ডকোষ সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছিল। গতকাল বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক জানান, হোসেইনের মা বাদী হয়ে সাইমুন ও আলাউদ্দিনের নামে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য হ স ইন

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদলের মিছিলে হামলার অভিযোগ, নরসিংদী জেলা বিএনপি নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজলুর কবির জুয়েল পলাশ বাজার এলাকার ফজর আলী মাস্টারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শোডাউনের উদ্দেশে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন, পথচারী সোহেল মিয়াসহ আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন।

আরো পড়ুন:

উত্তরায় র‌্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৫

টাঙ্গাইলে মাদকসহ দুই সহোদর গ্রেপ্তার

পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।’’

ঢাকা/হৃদয়/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ