কক্সবাজার যাওয়ার পথে তরুণ অপহৃত, পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
Published: 19th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে রিয়াজুল হাসান (১৮) নামের এক তরুণকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
অপহৃত রিয়াজুল লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের পদ্মশিখিল এলাকার বাসিন্দা ও সিএনজিচালক ফেরদৌস আলমের ছেলে। তিনি গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হন।
পরিবার সূত্রে জানায়, গত রোজার ঈদের আগে রিয়াজুল কক্সবাজারে একটি দোকানে চাকরি নেন। কোরবানির ঈদের আগের দিন তিনি বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরে পরিবারের সদস্যরা রিয়াজুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। তখন অপরিচিত এক ব্যক্তি মুঠোফোনটি রিসিভ করে পাঁচ লাখ টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠানোর কথা বলেন। অন্যথায় তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
ফেরদৌস আলম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকে গতকাল বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত অপহরণকারীরা তাঁর ছেলের মুঠোফোন নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন করে মুক্তিপণের টাকা চেয়েছে। টাকা না পেলে ছেলের লাশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, অনলাইনে বার্তা পাওয়ার পর থেকে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে ১৭ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণের শিকার হয়েছেন অন্তত ২৫৪ জন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্যাতন করে চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ জমা দিলেন ছাত্রদল নেতা
২০১৬ সালে অপহরণের পর নির্যাতন করে দুটি চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের এক নেতা। সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী ছাত্রদল নেতার নাম মো. গোলাম কিবরিয়া। তিনি কুমিল্লা মহানগর ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতি করছেন।
গোলাম কিবরিয়ার অভিযোগের আবেদনে বিএনপির মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ কমিটির সমন্বয়ক মো. সালাহ উদ্দিন খানের সই রয়েছে। কুমিল্লা–৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জাহের ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তৈয়বসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গুম ও নির্যাতনের এই অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ২০–২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেওয়া গোলাম কিবরিয়ার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২০ জুলাই ট্রেনে করে ঢাকা থেকে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে তাঁকে প্রথমে অপহরণ করে গুম করা হয়। এ সময় নির্যাতন করে তাঁর দুটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়।
এম এ জাহের, আবু তৈয়ব ছাড়াও অভিযোগে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ, আওয়ামী লীগ নেতা মো. এমরান হোসেন, মো. পাবেল, মো. মোখলেছ, মো. রুবেল, আবদুল জব্বার, মিরাজুল হক, অপহরণ ও গুমে ব্যবহার করা গাড়িচালক মো. শওকত, এস এম বদিউজ্জামান, সুমন কুমার আদিত্য, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, মেহেদী হাসান খান ও মঞ্জুরুল বারির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।