রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ
Published: 19th, June 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করছেন একদল শিক্ষার্থী। ‘রাবি সংস্কার আন্দোলন’ ব্যানারে গতকাল বুধবার এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। দাবি পূরণ না হলে ২৯ জুন থেকে ‘মার্চ ফর আওয়ার রাইটস’ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো—পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে কার্যকর করা, প্রশাসনিক সব কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করা (ক্যাশলেস ক্যাম্পাস), ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি দেওয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার এবং পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি দ্রুত কার্যকর করা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবন, মতিহার হল ও মন্নুজান হল এবং আজ বৃহস্পতিবার মমতাজউদ্দিন কলাভবন, বিজয়–২৪ হল ও জুলাই–৩৬ হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
রাবি সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা রাষ্ট্রে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা থাকে, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাসেও প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের কিছু আকাঙ্ক্ষা আছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের আন্দোলন করছি। শুধু সদিচ্ছার অভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হয়নি। আমরা কখনোই ভূমিহীন ছিলাম না। রোলসহ খাতা মূল্যায়নের কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হন কিংবা স্বজনপ্রীতি হয়। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও নাজুক। আমাদের এমন ৯টি দাবিই যৌক্তিক। আগামী ১০ দিন এ কর্মসূচি চলবে। দাবি পূরণ না হলে ২৯ জুন প্যারিস রোডে মার্চ ফর আওয়ার রাইটস আন্দোলনে নামব আমরা।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসনে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের নেতৃত্বে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
এ কমিটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরিতে কাজ করবে। পাশাপাশি টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমের গত ১৫ বছরের নীতিমালা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের নীতি প্রণয়নে কাজ করবে।
শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
গত মার্চে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। এ কমিশনের প্রধান ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।
প্রতিবেদনে বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। এ প্রতিষ্ঠানের নাম হতে পারে ‘বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা বা জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা’। এ প্রতিষ্ঠানের বার্তা বিভাগ হিসেবে বাসসকে একীভূত করতে বলেছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিভাগ থাকবে। এগুলো হলো টেলিভিশন, বেতার ও বার্তা বিভাগ।