রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করছেন একদল শিক্ষার্থী। ‘রাবি সংস্কার আন্দোলন’ ব্যানারে গতকাল বুধবার এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। দাবি পূরণ না হলে ২৯ জুন থেকে ‘মার্চ ফর আওয়ার রাইটস’ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো—পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে কার্যকর করা, প্রশাসনিক সব কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করা (ক্যাশলেস ক্যাম্পাস), ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি দেওয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার এবং পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি দ্রুত কার্যকর করা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবন, মতিহার হল ও মন্নুজান হল এবং আজ বৃহস্পতিবার মমতাজউদ্দিন কলাভবন, বিজয়–২৪ হল ও জুলাই–৩৬ হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

রাবি সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা রাষ্ট্রে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা থাকে, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাসেও প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের কিছু আকাঙ্ক্ষা আছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের আন্দোলন করছি। শুধু সদিচ্ছার অভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হয়নি। আমরা কখনোই ভূমিহীন ছিলাম না। রোলসহ খাতা মূল্যায়নের কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হন কিংবা স্বজনপ্রীতি হয়। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও নাজুক। আমাদের এমন ৯টি দাবিই যৌক্তিক। আগামী ১০ দিন এ কর্মসূচি চলবে। দাবি পূরণ না হলে ২৯ জুন প্যারিস রোডে মার্চ ফর আওয়ার রাইটস আন্দোলনে নামব আমরা।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ