জাহানারার সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক
Published: 24th, June 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে খেলার পাশাপাশি কোচিংয়েও হাত পাকাচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার জাহানারা আলম। খেলোয়াড় হিসেবে ভালো করার সঙ্গে কোচিংয়েও সমানতালে ভালো করছেন। সেই স্বীকৃতি পেলেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে লেভেল ২ কোচিং কোর্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় লেভেল ১ কোচিং কোর্স করার প্রয়োজন হয়নি। সিডনিতে নিজের ক্লাবে খেলা, কোচিং করানো এবং কোচিং কোর্স নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়ে নিজেদের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত করেছেন জাহানারা।
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি
সূর্যের আলো সরাসরি শরীরে পড়লে শরীরে যা ঘটে
গত ফেব্রুয়ারিতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না বলে জাতীয় দল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন জাহানারা। শুরুতে কয়েক সপ্তাহের ছুটি নিলেও পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেন। পরবর্তীতে দেখা যায় স্কলারপিশ নিয়ে সিডনি প্রিমিয়ার প্লেটে খেলছেন জাহানারা। মার্চে সেই লিগের খেলা শেষ হলেও এখনও সেখানে রয়ে গেছেন।
সাবেক অধিনায়ক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে তাকে ক্লাব থেকে মেন্টর পদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোচিং করাচ্ছেন সঙ্গে কোচিং ক্যারিয়ারে মনোযোগী হয়ে কোর্সও করছেন। বেশ দ্রুতই কোচিং কোর্সে ভালো করে স্বীকৃতি পেয়ে গেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৫৩ ওয়ানডে ও ৮৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জাহানারা। গত ডিসেম্বরের পর জাতীয় দলে তাকে দেখা যায়নি। এখন অস্ট্রেলিয়াতেই থিতু হয়েছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক