বাগানে ছাগল বাঁধা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা, কলার কাঁদি কেটে ফেলার অভিযোগ
Published: 27th, June 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরামপুরে একটি সবরি কলার বাগানের প্রায় ৪৮০টি কলার কাঁদি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের কলাচাষি শাহিনুর ইসলামের (৪২) বাগানে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বিকেলে শাহিনুরের কলাবাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে প্রায় ৪৮০টি সবরি কলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে। তবে প্রতিটি গাছের কাঁদি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। কাঁদিতে থাকা কলাগুলোর মাঝ বরাবর কেটে ফলগুলোও নষ্ট করা হয়েছে। কোনো কোনো গাছে ক্ষতিগ্রস্ত কলার কাঁদি ঝুলে আছে। কিছু কাঁদি মাটিতে পড়ে আছে।
শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর জুন মাসের শুরুর দিকে রতনপুর গ্রামের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ শতাংশ জমি বর্গা নেন তিনি। পরে ওই মাসের ২০ তারিখে ওই জমিতে তিনি উপজেলা কৃষি দপ্তরের স্মল হোল্ডার অ্যাগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি) আওতায় বছরব্যাপী পুষ্টিভিত্তিক ফল ও হোমস্টিড সবজি বাগান হিসেবে ৫৪০টি সবরি কলার চারা রোপণ করেন। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এক নারী কলাবাগানের পাশে ঘাস খাওয়ানোর জন্য একটি ছাগল বাঁধেন। পরে ছাগলটি বাগানে কলার পাতা খেয়ে গাছের ক্ষতি করলে ওই নারীকে ছাগলটি সরিয়ে নিতে বলেন শাহিনুর। বিষয়টি নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শাহিনুরের বাগ্বিতণ্ডা হয়। গতকাল সকালে কলার কাঁদি কেটে ফেলার খবর পান শাহিনুর। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার রাতের বেলা কলার কাঁদিগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কলাচাষি শাহিনুর ইসলাম।
রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বুধবার রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে শাহিনুরের কলাবাগান এলাকায় অনেক কুকুর চিল্লাচিল্লি করছিল। মনে হচ্ছে, ওই সময় কে বা কারা তাঁর বাগানে ঢুকে কলার কাঁদিগুলো কেটে নষ্ট করেছে।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষীদের শনাক্ত করা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর স্থানীয় একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব রতনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে গ্যারেজ থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
নিহত মুজিবুর মাঝি (৪৫) মুন্সিগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার বাঁধন সরকারের গ্যারেজে থাকতেন। তিনি ওই গ্যারেজের অটোরিকশা চালাতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার চরকুশিয়া এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রতনপুরে আজ সকাল থেকে একটি ডোবায় কাঁথা–কম্বল পেঁচানো কিছু একটা পানিতে ভাসছিল। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন কাঁথা ও কম্বল খুলে ভেতরে হাত-পা বাঁধা এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহত ব্যক্তির ছেলে রাসেল সরকার ও গ্যারেজের মালিক লাশটি মুজিবুরের বলে শনাক্ত করেন।
গ্যারেজের মালিক বাঁধন সরকার বলেন, শুক্রবার মুজিবুর লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় যাওয়ার উদ্দেশে গ্যারেজ থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় রোববার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। আজ লাশ পাওয়া গেল।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মুজিবুরকে হত্যার পর লাশ গুম করতেই ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।