দিনাজপুরের বিরামপুরে একটি সবরি কলার বাগানের প্রায় ৪৮০টি কলার কাঁদি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের কলাচাষি শাহিনুর ইসলামের (৪২) বাগানে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

গতকাল বিকেলে শাহিনুরের কলাবাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে প্রায় ৪৮০টি সবরি কলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে। তবে প্রতিটি গাছের কাঁদি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। কাঁদিতে থাকা কলাগুলোর মাঝ বরাবর কেটে ফলগুলোও নষ্ট করা হয়েছে। কোনো কোনো গাছে ক্ষতিগ্রস্ত কলার কাঁদি ঝুলে আছে। কিছু কাঁদি মাটিতে পড়ে আছে।

শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর জুন মাসের শুরুর দিকে রতনপুর গ্রামের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ শতাংশ জমি বর্গা নেন তিনি। পরে ওই মাসের ২০ তারিখে ওই জমিতে তিনি উপজেলা কৃষি দপ্তরের স্মল হোল্ডার অ্যাগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি) আওতায় বছরব্যাপী পুষ্টিভিত্তিক ফল ও হোমস্টিড সবজি বাগান হিসেবে ৫৪০টি সবরি কলার চারা রোপণ করেন। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এক নারী কলাবাগানের পাশে ঘাস খাওয়ানোর জন্য একটি ছাগল বাঁধেন। পরে ছাগলটি বাগানে কলার পাতা খেয়ে গাছের ক্ষতি করলে ওই নারীকে ছাগলটি সরিয়ে নিতে বলেন শাহিনুর। বিষয়টি নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শাহিনুরের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। গতকাল সকালে কলার কাঁদি কেটে ফেলার খবর পান শাহিনুর। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার রাতের বেলা কলার কাঁদিগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কলাচাষি শাহিনুর ইসলাম।

রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বুধবার রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে শাহিনুরের কলাবাগান এলাকায় অনেক কুকুর চিল্লাচিল্লি করছিল। মনে হচ্ছে, ওই সময় কে বা কারা তাঁর বাগানে ঢুকে কলার কাঁদিগুলো কেটে নষ্ট করেছে।

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষীদের শনাক্ত করা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল র ক গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ