কিশোরগঞ্জের ইটনায় অটোরিকশা চাপায় আরিয়ান মিয়া (৪) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।
নিহত শিশু সদরের সরকারি দাসপাড়া আবাসন সংলগ্ন দুলালপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবার সঙ্গে শিশুটি বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় পার্শ্ববর্তী হাজারীকান্দা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে অটোরিকশাচালক আজিজুল মিয়া দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় শিশু আরিয়ানকে চাপা দেয়। এতে শিশুটি মাথায় গুরুতর আঘাত পায়।
পরিবারের সদস্যরা আরিয়ানকে দ্রুত উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউছার আহমেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্যের সনদ হতে পারে: আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ ইতিবাচক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘জুলাই মাসের মধ্যেই একটি যৌথ সমঝোতার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্যের সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।’’
রবিবার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘গত সাত দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। যদিও আমরা এখনো চূড়ান্ত আশাবাদের জায়গায় পৌঁছাইনি, তবে আলোচনার ধারা ইতিবাচক। আমরা চাই না অতীতের সেই দুঃসহ রাজনৈতিক অচলাবস্থায় ফিরে যেতে। এই প্রক্রিয়ার গতি এবং এর ফলই বলে দেবে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পথে যাচ্ছি কি না।’’
তিনি জানান, ৭০ অনুচ্ছেদ, জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটি, উচ্চকক্ষ গঠন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতো কয়েকটি মূল ইস্যুতে পক্ষগুলোর পর্যালোচনা ও প্রস্তাব সংশোধনের মাধ্যমে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে দুটি ভিন্নমত আলোচনার টেবিলে এলেও শেষ পর্যন্ত একটি ‘সংশোধিত কাঠামোগত রূপরেখা’ গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির একক মনোনয়ন নয়, বরং ১০০ সদস্যের একটি পৃথক উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
রীয়াজ বলেন, ‘‘এতে করে অংশগ্রহণমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ সংসদীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হবে।’’
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সংবিধানের কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় ঐকমত্যের লক্ষ্যে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলেছে জানিয়ে রীয়াজ বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল আবু সাঈদের শাহাদাৎবার্ষিকীতে দলগুলোর স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সনদ প্রকাশ করা। যদিও নির্ধারিত সময়ে তা সম্ভব হচ্ছে না, তবে জুলাইয়ের মধ্যেই আমরা একটি কার্যকর চূড়ান্ত খসড়ায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’’
এএএম//