বন্ধুর বাড়িতে প্রথম দেখা, হোমওয়ার্কের খাতায় লেখা চিঠি: মেসি-আন্তোনেল্লার প্রেমের গল্প
Published: 30th, June 2025 GMT
প্রথম দেখা
গল্পটা শুরু হয়েছিল এক বন্ধুর বাড়িতে।
প্রেমের গল্পগুলো অবশ্য এমনই হয়। বন্ধুর বাড়িতে দেখা, প্রথম দেখাতেই ভালো লাগা, বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যাওয়া...শুরুটা এমন ছিল লিওনেল মেসিরও।
১৯৯৬ সালের কথা সেটা। আর্জেন্টিনার রোজারিও শহর। মেসির বয়স তখন ৯। সারা দিন ফুটবল নিয়ে পড়ে থাকা ছেলেটা মাঝেমধ্যে বন্ধু লুকাস স্কাগলিয়ার বাড়িতে যেত ভিডিও গেম খেলতে। এ রকমই এক দিনে মেসি ও স্কাগলিয়া যে ঘরে বসে গেম খেলছিল, সেখানে ঢোকে একটি মেয়ে।
‘তোমাদের কিছু লাগবে?’—জিজ্ঞেস করেছিল মেয়েটা।
‘না’, উত্তর দিয়েছিল স্কাগলিয়া।
মেয়েটা ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মেসি বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কে রে এটা?’
‘আমার কাজিন, আন্তোনেল্লা।’
৯ বছরের মেসি সেই প্রথম দেখেছিল ৮ বছরের আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে। সেই দেখাই বদলে দিয়েছিল মেসির দুনিয়া।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ধ র ব ড় ত প রথম দ খ
এছাড়াও পড়ুন:
৭ গোলের জয়ের পর এশিয়ান কাপ কত দূর
দুটি শূন্যতা কাটিয়েছে বাংলাদেশ।
এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দল আগেও খেলেছে। ২০১৪ আসরে তিন ম্যাচ, ২০২২ আসরে দুই ম্যাচ। তবে এই পাঁচ ম্যাচের একটিতেও বাংলাদেশ জিততে পারেনি। গতকাল সন্ধ্যায় বাহরাইনের বিপক্ষে সেই শূন্যতা কাটিয়েছে পিটার বাটলারের দল। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশের জয় এখন আর ০ নয়, ১।
আফঈদা খন্দকার-ঋতুপর্ণা চাকমারা শূন্যতার অবসান ঘটিয়েছেন আরেকটি জায়গায়। বাংলাদেশ দল নিজেদের খেলা আগের দুই বাছাইপর্বে গোল হজম করেছিল ২৫টি। ম্যাচপ্রতি গড়ে ৫ গোল! দুই ডজনের বেশি গোল হজম করা দলটি প্রতিপক্ষের জালে একবারও বল পাঠাতে পারেনি। গতকাল ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে সেই গোলশূন্যতা কেটেছে ম্যাচের ১০ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের সৌজন্যে।
বলা হয়ে থাকে, ০ থেকে ১ মানে শুধু সংখ্যাগত অগ্রগতি নয়, বরং মানসিক বিপ্লব। পরের পথটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলও কাল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম গোলের পর শুধু এগিয়েছেই। তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা, কোহাতি কিসকু, মুনকি আক্তারদের পাঁয়ের ছোঁয়ায় বাংলাদেশ পেয়েছে একের পর এক গোল। ৯০ মিনিট শেষের স্কোরলাইন ৭–০! কে বলবে, এই ম্যাচের জয়ী দল মেয়েদের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাহরাইনের চেয়ে ৩৬ ধাপ পিছিয়ে?
একের পর এক গোল উদ্যাপন করেছেন তহুরা–শামসুন্নাহাররা।