নৌবাহিনীকে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ
Published: 2nd, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দেওয়ার সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড.
তিনি বলেছেন, সরকার মনে করছে, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব নৌবাহিনীকে দেওয়া হলে কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আসবে।
তিনি বলেন, টার্মিনালে কর্মরত কারো চাকরি নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। প্রয়োজনে নৌবাহিনী আগের অভিজ্ঞ অপারেটরদের সহায়তা নিতে পারবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
তিনি বলেছেন, বন্দরের বিষয়ে কোনো বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। সরকার কখনোই জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করবে না। দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন, আন্তর্জাতিক মানের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ডের (DP World) সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এ ধরনের অংশীদারিত্ব হবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে, নির্দিষ্ট মেয়াদে এবং চুক্তিভিত্তিক। এখানে সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব ও মালিকানা থাকবে বাংলাদেশের হাতেই।
বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর
উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানের অপারেটর যুক্ত হলে বন্দরের কার্যক্রমে গতি আসবে, পণ্য খালাসের সময় কমবে, বড় জাহাজ ভিড়বে, নতুন নৌ রুট চালু হবে এবং জাহাজ ভাড়াও কমে আসবে।
বর্তমানে যেখানে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়, ভবিষ্যতে তা ৬ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। এতে বার্ষিক হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।
সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তি বহাল থাকবে
নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রমে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে চলমান চুক্তিগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন পর বহন উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত