ভারতে নির্বাসিত তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা জানিয়েছেন, তার অবর্তমানে যে উত্তরসূরি বেছে নেওয়া হবে তিনি তাদের কয়েক শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে বজায় রাখবেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তার 'গাহদেন ফোড্রাং ট্রাস্ট'। এই প্রসঙ্গে অন্য কারো 'হস্তক্ষেপ' চলবে না।

এদিকে চীন তার এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, পরবর্তী দালাই লামা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।

দালাই লামা তার ৯০ তম জন্মদিনে নিজের উত্তরসূরি সম্পর্কে কোনো সূত্র দিতে পারেন এই ব্যাপক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। তার আগেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত অনুসারীরা উত্তর ভারতের ধর্মশালায় জড়ো হয়েছেন।

অতীতে উত্তরসূরির বিষয়ে তাকে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত দেখা গিয়েছিল। তবে বুধবার এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান পেনপা সেরিং জানিয়েছেন দালাই লামার সিদ্ধান্তকে তারা সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন করছেন। সূত্র-বিবিসি বাংলা

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সুহৃদ সাহিত্য আড্ডায় ভাটির প্রবেশদ্বার ধর্মপাশার বর্ণনা

 

 

সুহৃদদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে সমকাল কার্যালয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুহৃদ সাহিত্য আড্ডা’। ২৯ জুন বিকেলে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে স্বরচিত গান, ছড়া-কবিতা পাঠ ও মুক্ত আলোচনা উঠে আসে সাহিত্য ও সমসাময়িক বিষয়। আমরা ভাটির মানুষ স্বপ্নচাষা/হৃদয়জুড়ে নাম লিখেছি ধর্মপাশা/মনের ডানা মেলে দিয়ে উড়ে উড়ে/ইচ্ছে হলে যাই হারিয়ে দূর হাওরে– এমন পঙক্তি উচ্চারিত হয় সুহৃদদের কণ্ঠে।

নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর সুহৃদদের প্রথম সাহিত্য আড্ডা এটি। এখন থেকে ধর্মপাশা সুহৃদ সমাবেশ প্রতি শনিবার বিকেলে সাহিত্য আড্ডায় মিলিত হওয়া বিষয়ে সদস্যদের একমত পোষণ করবে। এমন আড্ডা ভাটির প্রবেশদ্বার ধর্মপাশাকে শিল্প-সাহিত্যচর্চায় আরও একধাপ নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আলোচনা পর্বে মত দেন সুহৃদরা।

ধর্মপাশা সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সামরুলের সভাপতিত্বে আড্ডা পরিচালনা করেন সাহিত্য সম্পাদক কাজী বর্ণাঢ্য। সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক তানজিদা আজাদ শম্পা, দপ্তর সম্পাদক নাবিল আহম্মদ, পাঠচক্র সম্পাদক শৈবাল সরকার উৎস, স্থানীয় লেখক আরিফ বাঙ্গালী, নাঈম হাসান প্রমুখ অংশগ্রহণ করে আড্ডাকে জমজমাট করে তুলেন। একের পর এক মুক্ত আলোচনা, গান-কবিতা আর মৃদু হাততালির বাতাসে চায়ের চুমুকে স্বপ্নের ডানা মেলেছিলেন সবাই। সংঘবদ্ধ হয়ে গান-কবিতা উচ্চারণের এ সুযোগ যেন ভাটির জলাভূমিতে স্বপ্নের বিস্ফোরণ ঘটানোর সমান। তাই সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডায় মুক্তমনা সব কবি-সাহিত্যদের আমন্ত্রণ।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ