সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পুকুরপাড়ে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত শিশুরা হলো আকিব মিয়া (৫) ও তানভীর হোসেন (৫)। আকিব উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের সীমেরকান্দা গ্রামের সরাজ মিয়ার ছেলে। সে মির্জাকান্দা গ্রামে মামা লিল মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। অন্যদিকে তানভীর মির্জাকান্দা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে মির্জাকান্দা গ্রামে লিল মিয়ার বাড়িসংলগ্ন পুকুরপাড়ে খেলতে যায় আকিব ও তানভীর। সেখানে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলার একপর্যায়ে দুজনই পানিতে পড়ে যায়। পরে অন্য শিশুরা বড়দের খবর দিলে তাঁরা আকিব ও তানভীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মির্জাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমাছ মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে ছোট ছোট শিশুরাই ছিল। এ কারণে কেউ কাউকে রক্ষা করতে পারেনি।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশুদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দরপত্র বাক্স খোলার আগেই মুদ্রিত ক্যালেন্ডার বিতরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল ও টেবিল ক্যালেন্ডার মুদ্রণের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র জমা দেওয়ার পর বাক্স না খুলেই ক্যালেন্ডারের মুদ্রণ কপি বিতরণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ‘পছন্দের’ ঠিকাদারকে আগেই কাজটি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্র জমা দেওয়ার পর মূল্যায়ন কমিটি সেগুলো যাচাই-বাছাই করে। অথচ কমিটির অনেক সদস্যই এ বিষয়ে কিছু জানেন না। আসলে প্রক্রিয়াটি ছিল ‘লোক দেখানো’ এবং পূর্বনির্ধারিত ঠিকাদারের হাতে  আগেই কাজ তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা আগেই কাজ করে ক্যালেন্ডার বিতরণ করেছেন। 
কোষাধ্যক্ষ ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মতিয়ার রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না। কাগজপত্র দেখে তারপর কথা বলতে হবে।
কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন রাজশাহী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার মুদ্রণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে জনসংযোগ দপ্তর। দরপত্র জমার শেষ সময় ছিল ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টা। একই দিন দুপুর ১২টায় ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে কোটেশন বাক্স খোলার কথা ছিল। সেই বাক্স এখন পর্যন্ত খোলা হয়নি। অথচ এরই মধ্যে ক্যালেন্ডার মুদ্রণ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে বিতরণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানান, সাধারণত দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া সবার সামনে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়। এবার তা মানা হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, দরপত্র গ্রহণের পরদিনই কীভাবে মুদ্রণ কাজ শেষ হলো?
কোষাধ্যক্ষ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি বছর জুলাই মাসের শুরুতে ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়। এবার ক্যালেন্ডার মুদ্রণে দরপত্র জমা দেওয়ার ও ঠিকাদার নির্বাচনের শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। প্রতিবার সাধারণত আরও আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। জনসংযোগ দপ্তরকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা সাড়া দেয়নি। সেই দরপত্র জমার বাক্স এখনও আমাদের দপ্তরেই পড়ে আছে।’ 
অভিযোগের বিষয়ে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমি এখন রাজশাহীর বাইরে। ফিরে এসে বিষয়টি দেখব এবং আপনার সঙ্গে কথা বলব।’
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ