সেনা অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
Published: 3rd, July 2025 GMT
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিহতদের মধ্যে একজন কমান্ডার লালমিনসাং বম ওরফে সাংমিন বম ওরফে পুতিং বম ‘মেজর’ পদমর্যাদার কেএনএফ সদস্য ছিলেন। অন্যজন কেএনএফের সাধারণ সদস্য।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুমা সেনা জোনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর হোসেন এ সব তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর
বগুড়ায় দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাইন্দু ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পলিপ্রাংসা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। পলিপ্রাংসা ও মুয়ালপি পাড়ার মধ্যবর্তী এলাকায় কেএনএফের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। সেনা অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে কেএনএফের বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুইজনের মরদেহ ও একজন আহত সদস্যকে আটক করা হয়।
এ সময় তিনটি এসএমজি, একটি চাইনিজ রাইফেল, ৮টি ম্যাগাজিন, গুলি ২৩৭ রাউন্ড, ইউনিফর্ম, মোবাইল ফোন ও ওয়াকিটকিসহ ৫২ ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর হোসেন বলেন, “সেনাবাহিনীর এই অভিযান কেবল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। পাহাড়ের স্থানীয় শান্তিপ্রিয় জনগণের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি রয়েছে। তারা যেমন বাংলাদেশের নাগরিক, আমরাও তেমনই। তাদের জানমাল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর।”
২০২৪ সালের ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সংঘটিত ব্যাংক ডাকাতি, হামলা এবং পুলিশ ও আনসার বাহিনীর অস্ত্র লুটের ঘটনায় রুমা থানায় ১৪টি, থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটি মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সব মামলার আসামি কেএনএফ-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন নারীসহ ১১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/চাইমং/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত ক এনএফ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।