জার্মানিতে দ্রুতগতির ট্রেনে হামলায় চারজন আহত
Published: 4th, July 2025 GMT
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে দ্রুতগতির একটি ট্রেনে যাত্রীদের ওপর ‘বিপজ্জনক বস্তু’ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ভিয়েনাগামী একটি আইসিই ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে। জার্মানির বায়ার্ন অঞ্চলের পুলিশ জানায়, হামলাকারী একজন যাত্রী। তিনি ট্রেনের ভেতরে কয়েকজনকে আঘাত করেন। আহতদের চোট গুরুতর না হলেও পুরো ট্রেনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন।
জার্মান দৈনিক ‘বিল্ড’ জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত প্রধান অস্ত্র ছিল ‘সম্ভবত একটি কুঠার’। ঘটনার একপর্যায়ে কয়েকজন যাত্রী জরুরি ব্রেক টেনে ধরলে ট্রেনটি খোলা লাইনের মাঝখানে থেমে যায়।
পরে যাত্রীরা হামলাকারীর চারপাশ থেকে ঘেরাও করেন। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনটি হামবুর্গ থেকে ছেড়ে ভিয়েনার দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ এখনো হামলার কারণ বা হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
জার্মান রেল কর্তৃপক্ষ ডয়চে বান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এ ‘নৃশংস হামলায়’ অত্যন্ত হতবাক। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আহত যাত্রীদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও সমবেদনা রইল। যাঁরা এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী নির্যাতন ও ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘দুই ভাইয়ের বিরোধ’
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও নির্যাতন এবং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে প্রধান হোতা শাহ পরান এবং তার ভাই ফজর আলীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। ফজর আলীকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নিতেই শাহ পরান এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাই শাহ পরান জনতাকে উস্কে দিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ধর্ষককে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বাহেরচর গ্রামের শহিদের বড় ছেলে ফজর আলী এবং ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রায় দুই মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে গ্রাম্য শালিসে ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় মারেন। এ অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন শাহ পরান।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক জানান, শালিসের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। এর ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়ির আশপাশে অবস্থানরত শাহ পরান এবং একই গ্রামের আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান ও অজ্ঞাত ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করেন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। তা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, এ ঘটনা সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
ঢাকা/এমআর/রফিক