বন্দরে মুকুলের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 4th, July 2025 GMT
বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের উপর নেক্কার জনক হামলার নিন্দা জানিয়ে বন্দরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
এর ধারাবাহিকতা শুক্রবার (৪ জুলাই) বাদ জুম্মা বন্দরে সোনাকান্দা কিল্লা জামে মসজিদের সামনে ১৯,২০ ও ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,“আতাউর রহমান মুকুল ভাই এই এলাকার মানুষের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ । তিনি দুইবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বন্দরবাসীর জন্য বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এবং সকল শ্রেণির মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনামলে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন মুকুল ভাই ছিলেন সবার ভরসার জায়গা। তিনি কারও পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা করেননি, আইনি ও মানবিক সহায়তা দিয়ে বহু মানুষকে রক্ষা করেছেন। একজন অভিজ্ঞ, সাহসী ও সম্মানিত রাজনীতিবিদের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত।
বন্দরের ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা গোলাম নবী মুরাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর খান সেন্টু, ফখরুল ইসলাম মজনু, এড: বিল্লাল হোসেন, এড: আনিছ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক শিশু বিষয় সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, সদর থানা বিএনপি নেতা আব্দুর রাশেদ টিটু, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ফারুক চৌধুরী,২০নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি আঃ জব্বর পাঠান, ২০ নং ওয়ার্ড সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়া হান্নান, বিএনপির নেতা আরমান, মোঃ শাহিন, অলিদ মুন্সি, মোঃ এসাক আলী, মোঃ আসলাম, শহীদ হোসেন, ইয়া নবী, হাসান মৃধা, ও খোকন মির্জা প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাটারিচালিত রিকশা (ইজিবাইক) চালকরা হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে ইজিবাইক চালকদের সাথে সংঘাতে জড়ালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ইজিবাইকচালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে রাখেন। তাদের অবরোধে পুরো শহরজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশ গেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষার্থী ও ইজিবাইক চালকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- মোঃ আবু সাঈদ (১৯), মারুফ (১৯), আসিফ (৩০), মাহিম (২২), ফয়সাল আহমেদ (২৮), হুমায়ন কবির (২৬), এনামুল হক শান্ত (২৩), শাহীন খন্দকার (২২) ও নুহেল মুন্সী আপন (২২)। তবে আহত ইজিবাইক চালকদের নাম পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা চাষাড়ায় ঢুকতে বাঁধা দেয় ইজিবাইক চালকদের। এ নিয়ে কথাকাটাকিাটি হয় উভয়ের মধ্যে এক পর্যায়ে ইজিবাইকরা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইজিবাইক চলকরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। পরে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সংঘর্ষের সময় ইজিবাইক চালকদের অনেকেই তাদের গাড়ির সিটের নিচ থেকে লাঠি ও লোহার রড বের করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
ধারণা করা হয়, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ইজিবাইক চালকরা যে শিক্ষার্থীদের উপর সুযোগ পেলেই হামলা করবে। কারণ গত এক দেড় মাস ধরেই চাষাড়ায় ইজিবাইক ঢুকতে বাধা দিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ জমতে থাকে ইজিবাইক চালকদের মধ্যে। আজকে তারা সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।
ওদিকে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা এক মাস ধরে শহরের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। চেম্বার অব কমার্স এবং বিকেএমই থেকে আমাদেরকে ট্রাফিক মনিটরিং সেলে দেওয়া হয়। আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বড় অটোরিকশাগুলো চাষাঢ়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চাষাঢ়ায় প্রবেশ করেন। পরে বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর ক্ষেপে যান। এবং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তবে উজ্জল নামে এক অটোরিকশাচালক জানায়, ‘আমাদের চাষাঢ়া যাওয়া নিষেধ। আমরা নিষেধ উপেক্ষা করে চাষাঢ়া গেছি, এটা আমাদের অপরাধ। কিন্তু তারা আমাদের অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। গ্লাস ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের অনেককে তারা মারধর করেছে। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভালো একটি সমাধানে আসা সম্ভব হয়েছে। আলোচনা সভায় দুই পক্ষই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত মানতে একমত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হবে।