ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী তানজিন তিশা। কাজের বাইরেও নানা কারণে আলোচনায় থাকেন। শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জনে একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন।   

একাধিক গোপন বিয়ে, এক সন্তানের মা হয়েছেন— এমন খবরও পেয়েছেন তানজিন তিশা। চিত্রনায়ক জায়েদ খান সঞ্চালিত ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে কথা বলেন তানজিন তিশা।  

গতকাল তানজিন তিশার বেশ কটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে শিশুসন্তানের সঙ্গে দেখা যায় তাকে। দাবি করা হয়— “এই শিশু তানজিন তিশার।” এসব ছবি এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ক্ষোভ ঝারেন ৩২ বছর বয়সি অভিনেত্রী তিশা। 

আরো পড়ুন:

পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে করে ‘মা’ হতে চান তিশা

জায়েদ খানের অতিথি তানজিন তিশা

অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়া শিশুর পরিচয় দিয়ে এ স্ট্যাটাসে তানজিন তিশা বলেন, “অসভ্যদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! যে অসভ্যরা আমার আদরের ভাগ্নে-ভাগ্নিকে নিয়ে তোলা ছবি; আমার লুকিয়ে রাখা সন্তান হিসেবে ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে ২০ ডলার উপার্জনের জন্য!” 

২০ হাজার ডলার ভিক্ষা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তানজিন তিশা বলেন, “সেই সব অসভ্যদের বলছি— এখন পর্যন্ত আমার লুকিয়ে রাখা যত বাচ্চাকাচ্চা আছে তাদের আমার কাছে পৌঁছে দিলে ২০ হাজার ডলার ভিক্ষা দিবো। যদি বাচ্চাকাচ্চাগুলোকে আমার কাছে পৌঁছাতে না পারিস তো? নিজ গালে, নিজ উদ্যোগে, জুতা মার তালে তালে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি

চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।

রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্‌রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ