সৌভাগ্যে পাওয়া জয়টা কেন নিতে চান না শীর্ষ বাছাই সিনার
Published: 8th, July 2025 GMT
হার চোখ রাঙাচ্ছিল ইয়ানিক সিনারকে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচিয়ে দিল সৌভাগ্য, যেটা গ্রিগর দিমিত্রভের জন্য আবার দুর্ভাগ্য।
উইম্বলডনের গতকাল রাতে শেষ ষোলোয় ১৯তম বাছাই দিমিত্রভের মুখোমুখি হন সিনার। র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় এই ইতালিয়ান প্রথম দুই সেট হেরেও (৩-৬, ৫-৭) যান বুলগেরিয়ান দিমিত্রভের কাছে। তৃতীয় সেটে ২-২ এ থাকতে ডান পাশে বুকের ওপরে মাংসপেশিতে চোট পেয়ে কোর্টেই পড়ে যান দিমিত্রভ। সিনার ছুটে যান তাঁর কাছে। শেষ পর্যন্ত আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি দিমিত্রভ। চোখের জলে ভিজে সেন্টার কোর্ট ছাড়তে হয় তাঁকে। সিনার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও এই ম্যাচ জিতেছেন বলে তিনি মনে করেন না।
আরও পড়ুন‘ফেদেরার-কুফা’ কাটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচ১০ ঘণ্টা আগেওপেন যুগে নবম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে টানা সাতটি গ্র্যান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও বন্ধু দিমিত্রভ চোট পেয়ে বিদায় নেওয়ায় মন ভালো নেই সিনারের। সেটা বোঝা গেছে সেন্টার কোর্টেই। দিমিত্রভকে কোর্ট ছাড়তে সাহায্য করার পর আবারও ফিরে আসেন সিনার। কোর্টে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটাকে আমি জয় বলে মনে করি না। আমাদের সবার জন্যই এটা দুর্ভাগ্যজনক এক মুহূর্ত।’
দিমিত্রভকে কোর্টের বাইরে নিয়ে যান সিনার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ
ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়।
সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।
আরো পড়ুন:
নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা
ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী
কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।”
তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।”
এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?
এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।”
সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”
ঢাকা/শান্ত