একাই ছয় দপ্তর সামলানো খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হুসাইন শওকতের দায়িত্বভার কিছুটা কমানো হয়েছে। খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার এবং ওয়াসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে। বুধবার তিনি কাজ শুরু করেন।
হুসাইন শওকত ১০ মাস ধরে মূল দপ্তরের পাশাপাশি খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক, জেলা পরিষদের প্রশাসক, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একসঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে কর্মকর্তাদের ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। এতে দপ্তরগুলোর কাজে ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
এ নিয়ে গত ৪ জুলাই দৈনিক সমকালে ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।
তিনি সমকালকে বলেন, ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। হুসাইন শওকতের দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স থ ন য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মামলার পর মুখ খুললেন ডিপজল
চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলসহ দুজনের বিরুদ্ধে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের অভিযোগে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালতে রাশিদা আক্তার (৩৫) বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদনে দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে নিয়ে আলোচনা চলছে। এবার বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন ডিপজল। একাধিক ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এই অভিনেতা।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: প্রেস সচিব
কেরাণীগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে কুয়েত প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার
ডিপজল বলেন, “একজন পাগল ভক্তের কর্মকাণ্ড পুঁজি করে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন! আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন।”
অসহায়ত্বের কথা বলে বিভিন্ন সময় ডিপজলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওই নারী। তা উল্লেখ করে ডিপজল বলেন, “এই মহিলার দুটি বাচ্চা নিয়ে এফডিসি থেকে তার স্বামী নেই বলে অসহায়তার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে মাঝে মাঝে এসে কান্নাকাটি করে ১০ হাজার বা ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। অনেকবারই এফডিসিতে দেখা হয়েছে, যার ভিডিওগুলো আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবেন।”
ওই নারীর বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে ডিপজল বলেন, “ওই মহিলার বক্তব্য মতে, ২০২৫ সালের জুনের ২ তারিখে হাটে দেখা হয়েছে বলে সাক্ষাৎকারে বলেছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা—ভিডিওটি দেখলে বোঝা যাবে। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা সিটি করপোরেশনকে হাটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার সব কাগজপত্র প্রমাণাদি আমাদের কাছে আছে। হাট বুঝিয়ে দেওয়ার ২ মাস পর আবার কেন হাটে যাব? ২ জুন মহিলাটি হাটে এসে কী করেছিল, সেটির ভিডিও ফুটেজও রয়েছে, যা আপনারা দেখতে পাবেন। হাটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পাওয়া যাবে।”
সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ডিপজল বলেন, “এখন মহামান্য আদালতকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিচার করবেন। যারা এই মহিলাকে ব্যবহার করে এসব কাজ করছে, তাদেরও প্রকাশ্যে আনবেন। এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২ জুন রাজধানীর কোরবানির গরুর হাটে অভিনেতা ডিপজলের আগমনের কথা শুনে তার ভক্ত হিসেবে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তখন ডিপজল তার পিএসকে বলে, “এই মহিলা এখানে কীভাবে ঢুকল, বের কর এখান থেকে।”
পরে ডিপজলের পিএসসহ সেখানে থাকা ৮ থেকে ১০ জন শারীরিকভাবে হেনস্তা, মারধর করে রশি দিয়ে টেনে বের করে দিতে চায়। ভুক্তভোগী আহত অবস্থায় বলেন, “আমাকে ছাড়, আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে বিচার দেব।’ তখন পিএস বলে, ‘ভেতরে গেলে ডিপজল ভাই তোকে খুন করে ফেলবে। ওকে এভাবে মারলে মনের জিদ কমবে না।”
এজাহারে বাদী আরো বলেন, পিএসের নির্দেশে একজন ভেতর থেকে একটা ছোট গ্যালন নিয়ে আসে। পরে সে গ্যালনটি বাদীর ঘাড়ের দিকে ঢেলে দেয়। বাদী যন্ত্রণায় কান্না করতে করতে বাসায় যান। পরে ৪ থেকে ১১ জুন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। ১২ জুন মামলা করতে গেলে ডিপজলের পিএস কল দিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন বলেও উল্লেখ করেন।
ঢাকা/শান্ত