‘বাংলাদেশপন্থি’ রাজনীতির জন্য দেশে নতুন সংবিধান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেছেন, “আমাদের নতুন সংবিধান প্রয়োজন। যে কোনো দেশের আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশপন্থি একটি রাজনীতি দাঁড় করাতে হবে। আমাদের দেশে যে সংকটগুলো চলমান আছে, গণঅভ্যুত্থানের পরেও আমরা নতুন সংবিধানের অভাবে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারছি না।”

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে গুলি চালানোর নির্দেশ হাসিনা নিজেই দিয়েছিলেন: নাহিদ

খুলনায় এনসিপির সমাবেশে ২০ হাজার লোক সমাগমের প্রস্তুতি

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘দেশের মৌলিক সংস্থার, জুলাই সনদ নিয়ে এখনো লড়াই চলছে। কিন্তু, একটি মহল নানা তালবাহানা করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ বিনির্মাণে লড়াই শুরু হয়েছে মন্তব্য করে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “এই বাংলাদেশ নতুন করে করতে হলে ফ্যাসিজমের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে বাংলাদেশের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন।”

তিনি আরো বলেন, “এলাকার চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস-দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরায় যারা শহীদ হয়েছেন সেই রক্তের মর্যাদা দিতে হবে। বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য বৈষম্যহীন, গণতন্ত্র, সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের এই লড়াই। এ লড়াই শেষ হয়নি, সেই বার্তাটি আমরা দিতে এসেছি।”

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট গণঅভ য ত থ ন নত ন স ব ধ ন আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে