নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এই দল সবসময় জনগণের পক্ষে থাকে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কথা বলে বিএনপি। যারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার অপকর্ম সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের সাথে জড়িত থাকবেন তাদের স্থান বিএনপিতে নাই। 

কিছুদিন আগে আমাদের দল নাম ভাঙ্গিয়ে এই ওয়ার্ডে বিতর্কিত কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন। যারা দুটি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আমরা বলে দিতে চাই তারা দলের কেউ না তারা ফ্যাসিদের দোষর হওয়ার কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত। সুতরাং এইসব ব্যক্তিদের কারণে বিএনপিকে দোষারোপ করা যাবে না। 

আমরা একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই যারা এই দুটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং অপকর্ম করছে তাদেরকে গ্রেফতার করে তাদের বিচার নিশ্চিত করা হোক। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল চারটায় ২১নং ওয়ার্ডের সিকদার আঃ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, আমরা কোন ফ্যাসিদের দোসরদেরকে কি নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন অংশগ্রহণ করতে দিতে পারিনা। যদি দিতে না পারি তাহলে ওই যে মাকসুদ চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলার সে তো বেশ কয়েকটি বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামি।

সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় ছাত্র হত্যাকারী সেই মাকসুদকে আমরা কোন রকমই বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিতে পারি না।  

আমরা বলে দিতে চাই শুধু মাকসুদ না যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা অন্যায়কারী হত্যাকারী ওই ফ্যাসিসদের সহায়তা করেছে তাদের কেউ নির্বাচন অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। আর গত ফ্যাসিদের আমলে বিএনপি'র কিছু নেতা যাদেরকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সহায়তা করেছেন এমন কিছু নেতা যেমন নারায়ণগঞ্জ আছে বন্দরেও আছে। 

যাদেরকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করেছে তাদেরকে আমি বলতে চাই বুহিষ্কার আদেশ কখন প্রত্যাহার হয় যদি কোন কিছু ভালো করেন এবং নিজের ভুল শুধরিয়ে আবার শপথে ফিরে আসতে পারেন। সুতরাং আপনারা ভাল কার্যক্রম করেন এবং শপথে ফিরে আসুন হয়তো বা দল আপনাদেরকে গ্রহণ করতেও পারে। 

তিনি আরও বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ী মাদকাসক্ত ব্যক্তি কোন চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ এবং মানুষের প্রতি জুলুম কারিকে এই সদস্য নতুন সদস্য করা যাবে না। আওয়ামী লীগকে বা এই নারায়ণগঞ্জে যারা সন্ত্রাস করেছে যে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান ও আইভীর কোন দোসরকে এই সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।

যদি এই ধরনের কাউকে সদস্যপদ দেওয়া হয় সেটার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডকে জবাবদিহি করতে হবে এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও হতে পারে। সুতরাং বিএনপির সদস্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে তারপরে সদস্য করবেন।

মহানগর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল প্রধানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.

আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, বন্দর থানা বিএনপির শাহেনশাহ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।

আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন মশু, মহানগর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র বাসেদ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনাক্কা, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মিয়াজী প্রমুখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স র ব এনপ র হত য ক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।

যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।

তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।

যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না। 

তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।

আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
  • বিএনপি কৃষকদের ফারমার্স কার্ড দিবে : সাখাওয়াত
  • তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বন্দরে মহানগর বিএনপির কৃষক সভা
  • ১১২ টাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনে চাকরি পেলেন ১৪ জন
  • সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক হাটে নির্বাচনী প্রচারণায় মামুন মাহমুদ 
  • রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তারুণ্যের চোখে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন না’গঞ্জ জেলা আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
  • বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী