মাকসুদ চেয়ারম্যানকে বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিবো না : সাখাওয়াত
Published: 11th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এই দল সবসময় জনগণের পক্ষে থাকে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কথা বলে বিএনপি। যারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার অপকর্ম সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের সাথে জড়িত থাকবেন তাদের স্থান বিএনপিতে নাই।
কিছুদিন আগে আমাদের দল নাম ভাঙ্গিয়ে এই ওয়ার্ডে বিতর্কিত কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন। যারা দুটি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আমরা বলে দিতে চাই তারা দলের কেউ না তারা ফ্যাসিদের দোষর হওয়ার কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত। সুতরাং এইসব ব্যক্তিদের কারণে বিএনপিকে দোষারোপ করা যাবে না।
আমরা একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই যারা এই দুটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং অপকর্ম করছে তাদেরকে গ্রেফতার করে তাদের বিচার নিশ্চিত করা হোক।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল চারটায় ২১নং ওয়ার্ডের সিকদার আঃ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা কোন ফ্যাসিদের দোসরদেরকে কি নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন অংশগ্রহণ করতে দিতে পারিনা। যদি দিতে না পারি তাহলে ওই যে মাকসুদ চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলার সে তো বেশ কয়েকটি বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামি।
সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় ছাত্র হত্যাকারী সেই মাকসুদকে আমরা কোন রকমই বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিতে পারি না।
আমরা বলে দিতে চাই শুধু মাকসুদ না যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা অন্যায়কারী হত্যাকারী ওই ফ্যাসিসদের সহায়তা করেছে তাদের কেউ নির্বাচন অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। আর গত ফ্যাসিদের আমলে বিএনপি'র কিছু নেতা যাদেরকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সহায়তা করেছেন এমন কিছু নেতা যেমন নারায়ণগঞ্জ আছে বন্দরেও আছে।
যাদেরকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করেছে তাদেরকে আমি বলতে চাই বুহিষ্কার আদেশ কখন প্রত্যাহার হয় যদি কোন কিছু ভালো করেন এবং নিজের ভুল শুধরিয়ে আবার শপথে ফিরে আসতে পারেন। সুতরাং আপনারা ভাল কার্যক্রম করেন এবং শপথে ফিরে আসুন হয়তো বা দল আপনাদেরকে গ্রহণ করতেও পারে।
তিনি আরও বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ী মাদকাসক্ত ব্যক্তি কোন চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ এবং মানুষের প্রতি জুলুম কারিকে এই সদস্য নতুন সদস্য করা যাবে না। আওয়ামী লীগকে বা এই নারায়ণগঞ্জে যারা সন্ত্রাস করেছে যে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান ও আইভীর কোন দোসরকে এই সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।
যদি এই ধরনের কাউকে সদস্যপদ দেওয়া হয় সেটার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডকে জবাবদিহি করতে হবে এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও হতে পারে। সুতরাং বিএনপির সদস্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে তারপরে সদস্য করবেন।
মহানগর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল প্রধানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.
আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন মশু, মহানগর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র বাসেদ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনাক্কা, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মিয়াজী প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স র ব এনপ র হত য ক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা রাজীবের বক্তব্যের সমালোচনায় ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে আরো স্টাাডি করে তাপরর বক্তব্য দেয়া উচিত।
তারা বলেন, আমাদের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, “আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না; বরং ইসলামকে ক্ষমতায় বসাতে চাই।”
আর ইসলামী আন্দোলন প্রচলিত রাজনীতি করে না; বরং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য ইবাদত মনে করে রাজনীতি করে। আমাদের প্রিয় নবী (সা:) যেমন ধর্মের প্রধান ছিলেন, তেমনি রাষ্ট্রেরও প্রধান ছিলেন। তাঁর ওফাতের পর ধারাবাহিকভাবে সাহাবায়ে কেরাম রা. রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন।
তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার যে নীতি ও আদর্শ ছিল সেই আদর্শ ধারণ করে আমরা রাজনীতি করি। আমাদের আইডল হলো নবী, রাসূলগণ ও খোলাফায়ে রাশেদীন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলি যে, যদি আপনি ইসলামী আন্দোলনকে ভোট বা সমর্থন করেন তাহলে আপনার সমর্থন যাবে নবী ও রাসূলদের সমর্থনের পক্ষে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আপনারা জিয়ার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন। আপনাদের স্লোগানই হলো আমরা সবাই জিয়ার সেনা বা মুজিব সেনা ইত্যাদি ইত্যাদি...। পক্ষান্তরে আমাদের স্লোগান হলো “ আমরা সবাই রাসূল সেনা...
নেতৃদ্বয় চ্যালেঞ্জ দিলে বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কোন কর্মীর নামে চাঁদাবাজের অভিযোগ নেই, দখলদারি ও সন্ত্রাসীর কোন মামলা নেই, নেই কোন মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা।
অপরদিকে পত্রপত্রিকায় চোখ বুলালেই দেখা যায়, অমুক স্থানে, তমুক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিতে অমুক দলের লোক আটক।
জুলাই আন্দোলনে আমাদের নায়েবে আমীর সাহেব ৪ আগস্ট ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিশাল মিছিল নিয়ে রাজ পথে আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ইতিহাস স্বাক্ষী। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সুতরাং যারা আমাদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তাদেরকে চিন্তা ভাবনা করে মন্তব্য করার অনুরোধ করছি।
প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা করিনা। আমরা সকলে মিলেমিশে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই আসুন, কাদা ছুড়াছুড়ি না করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই। যেকোন স্বৈরাচার উত্থান হওয়ার রাস্তা চিরতরে বন্ধ করি।