বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা চলবে
Published: 12th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনে আরো কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, তবে কয়েকটি বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। দুই পক্ষই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, নিজেদের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা চালু থাকবে। তারপর আবার দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। সেই আলোচনা ভার্চুয়ালি এবং সামনাসামনি দুই প্রক্রিয়াতেই হতে পারে। খুব দ্রুতই সেই সময়-তারিখ নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রেস উইং আরো জানিয়েছে, বাণিজ্য উপদেষ্টা, সচিব ও অতিরিক্ত সচিব শনিবার (১২ জুলাই) দেশে ফিরবেন। প্রয়োজন হলে তারা আবার যাবেন। তিন দিনের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের আশাবাদ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি ইতিবাচক অবস্থানে পৌঁছানো যাবে।
আরো পড়ুন:
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০, নিখোঁজ ১৭১
আরো ৭ দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
এই আলোচনায় বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড.
তিনদিনের এই আলোচনার পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে সরকার’
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির বিকল্প নেই। নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নতিতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। মিটফোর্ডে খুনের ঘটনায় দ্রুত সময়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা আমাদের উদ্দেশ্য। ভোট দিয়ে মানুষ যাতে ভালো অনুভব করেন, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে বিগত সময়ে সাংবাদিকরা যে ধরনের সমস্যায় পড়তেন, এবার সে সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনারা কোনো হয়রানির শিকার হবেন না। নির্বাচনী আচরণবিধি থাকে, এবারও থাকবে। আপনারা সেটা ফলো করবেন। এরপরও বাধার সৃষ্টি হলে একজন অফিসারকে ডেজিগনেট করে দেওয়া হবে, তিনি কথা বলে বাধা-বিপত্তি দূর করতে কাজ করবেন।”
উপ-প্রেস সচিব আরো বলেন, “কারো প্রতি সরকারের কোনো রাগ-অনুরাগ নেই। সাংবাদিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটা দেখা হবে। এবার প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। আপনারা প্রশাসনকে জানাবেন। অনিয়ম দেখলে দ্বিধাহীন চিত্তে রিপোর্ট করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্যাগুলো দ্রুত কেটে যাবে।”
তিনি বলেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। গত ৫ বছরে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে হয়রানি করা হয়েছিল। সেটা বাতিল করা হয়েছে। নতুন বোতলে পুরনো মদ সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছিল, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকের নামে হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলোও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যম দু-একটি প্রকাশ হতে শুরু করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোনো চ্যানেল বন্ধ হয়নি, বরং চালু হচ্ছে। এখন সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হন না। সাংবাদিকতা করার কারণে কোনো মামলা-হয়রানি হয়নি।”
এ সভায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/রফিক