খেজুর শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা কমবেশি সবারই জানা। খেজুরে ফাইবারের মতো নানা উপাদান রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে। শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতেও খেজুর কার্যকরী।  প্রতিদিন একটা করে খেজুর খাওয়ার বদলে, যদি একটু অন্য ভাবে খাওয়া যায় তাহলে তা বেশি উপকারী হবে। 

ওটস
সকালের নাশতায় অনেকেই ওটস খান। দই-ওটস স্বাস্থ্যকর নাশতা। তবে ওটস এর সঙ্গে যদি খেজুর মেশানো যায় তাহলে আলাদা করে চিনি কিংবা গুড় খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এতে শরীরও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। 

কাঠবাদাম
কাঠবাদাম এবং খেজুর একসঙ্গে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। লিভার এবং হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও এই দুটি মিশ্রণ উপকারী। তা ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অনিদ্রা দূর করতেও খেজুর আর কাঠবাদাম খেতে পারেন। এর সঙ্গে যদি সামান্য মধু মেশানো হয় তা আরও উপকারী হবে। 

চকোলেট
ডার্ক চকোলেটের সঙ্গে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ভালো। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, রক্তচাপ কমায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। রক্ত চলাচল সচল রাখতেও চকোলেটের জুড়ি নেই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

সনদে সই করব কি না অনুষ্ঠানে গেলে দেখতে পারবেন: তাহের

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আগামী শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাঁরা দাওয়াত পেয়েছেন এবং আশা করছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। সনদে সই করবেন কি না, সেটা অনুষ্ঠানের দিন সবাই দেখতে পারবেন।

আজ বুধবার রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অতি জরুরি বৈঠক শেষে বের হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সনদে স্বাক্ষর করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘১৭ তারিখে (শুক্রবার) আমরা আশা করি, যাব। মাত্র এক দিন বাকি আছে, ওই দিন গেলেই ইনশা আল্লাহ দেখে ফেলবেন।’ কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে রকম অনিশ্চয়তা আমরা দেখি না।’

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, গণভোট আগে হতে হবে। তারা নভেম্বর মাসে গণভোটের প্রস্তাব করেছে। নভেম্বরে গণভোট হলে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, এটা তারা চায়।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে তাতে ভোট পড়ার হার কম হবে। কারণ, রাজনৈতিক দলের কর্মী–সমর্থকরা তাঁদের পছন্দের মার্কায় ভোট দিতে বেশি আগ্রহী থাকবেন। তখন গণভোটের গুরুত্বই থাকবে না। সে জন্য তাঁরা গণভোট নভেম্বরে করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ঐকমত্য কমিশনকে তাঁরা বলেছেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেগুলো একটি প্যাকেজ করে একটি প্যাকেজেই গণভোট হতে হবে।

গণভোটের জন্য রাজি হওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান জামায়াতে ইসলামীর ওই নেতা। তবে গণভোটের সময় নিয়ে ভিন্নতা থেকে গেছে উল্লেখ করে তাহের বলেন, গণভোট হবে সংস্কার কমিশনের জন্য। জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। গণভোটের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নির্বাচনী আচরণে কিছু পরিবর্তন আনবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ এবং ‘পিআর সিস্টেম বাই ভোটার নট বাই দি এমপিস’ এ ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। সুতরাং নির্বাচনের আগেই এই সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী উচ্চকক্ষের ভোট হবে। যদি এটা নির্বাচনের দিনই হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ তো পাস হলো না। তাহলে কি আবার একটা নির্বাচন হবে?

সম্পর্কিত নিবন্ধ