রাজনৈতিক দলগুলোকে খানিকটা ছাড় দিয়ে এক জায়গায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় ১২তম দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ আহ্বান জানান।

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে দলগুলোর সঙ্গে এ ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন।

আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

সব বিষয়ে ১০০ শতাংশ আমাদের অবস্থান থাকবে, এই ধারণা নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। আমরা আপনাদের বলেছি, কিছুটা ছাড় দিয়ে, অবস্থান নমনীয় করে এক জায়গায় আসতে হবে। না হলে আলোচনা অর্থহীন হয়ে যায়। সবাই তো নিজের অবস্থান থেকে কথা বলেই যাচ্ছেন, বলছেন সারা দিন, বলছেন সারা বছর। তাহলে সংলাপের অর্থ কী?আলী রীয়াজ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আপনাদের বক্তব্য গুরুত্বহীন মনে করছি না; বরং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করি। কিন্তু কোথাও না কোথাও একটি জায়গায় এসে একমত হতে হবে। এর বিকল্প হতে পারে একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত; যেখানে সবকিছু একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত থাকবে। সেটি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর হবে না।’

রাষ্ট্রপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকেও ইঙ্গিত করে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। ফলে রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি নিয়োগ পাচ্ছেন মাত্র দুই ব্যক্তির সম্মতির ভিত্তিতে। এটা একরকম রোমান মডেলের মতো; যেখানে একজনের সিদ্ধান্তই সব।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। দোয়েল হল, ফরেন সার্ভিস একাডেমি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক দলগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দলগুলোর সঙ্গে ‘জরুরি’ বৈঠক চলছে

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘অতি জরুরি’ বৈঠক শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। রাজনৈতিক দলগুলো সনদে সই করবে কি না, সে বিষয়ে এবং প্রয়োজনে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বৈঠকে আবার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র।

এর আগে বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী শুক্রবারই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতার কারণে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর নিয়ে হঠাৎ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এ জন্য আজ সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘অতি জরুরি’ বৈঠক ডাকা হয়। এই বৈঠকে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ বুধবার বিকেলে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ পরেও থাকবে, সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ
  • স্বাধীনতার ঘোষণা বাদ দেওয়ার সুপারিশ, তাই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বাম জোট
  • আড়াইহাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
  • আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশীদার হবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম
  • জুলাই সনদ সই হলে বাস্তবায়নের পথ কতটা মসৃণ
  • জুলাই সনদে সই করার বিষয়ে কোন রাজনৈতিক দল কী বলল
  • এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করবে কি না, সিদ্ধান্ত এখনো বিবেচনাধীন: আখতার
  • সনদে সই করব কি না অনুষ্ঠানে গেলে দেখতে পারবেন: তাহের
  • জুলাই সনদ: ‘অতি জরুরি’ বৈঠক চলছে
  • প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দলগুলোর সঙ্গে ‘জরুরি’ বৈঠক চলছে